শেষবেলায় প্রকাশ্যে ভূতের নৃত্য! অবাধে ছাপ্পা মন্ত্রীর নজরদারিতে

তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার কৃষিমন্ত্রী। রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও। অথচ, বুধবার সেই পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধেই বুথের ভেতর দাঁড়িয়ে থেকে ছাপ্পা ভোট পরিচালনার অভিযোগ উঠল। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। বিজেপি ওই বুথে ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:১১
Share:

তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার কৃষিমন্ত্রী। রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও। অথচ, বুধবার সেই পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধেই বুথের ভেতর দাঁড়িয়ে থেকে ছাপ্পা ভোট পরিচালনার অভিযোগ উঠল। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। পূর্ণেন্দুবাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে ভোট বাতিলের দাবিও জানিয়েছে তারা।

Advertisement

এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ ওই কেন্দ্রের শান্তিময় নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে জনা তিনেক লোক নিয়ে ঢুকে পড়েন পূর্ণেন্দুবাবু। এর পরেই বহিরাগতদের দখলে চলে যায় ভোটকেন্দ্র। বিরোধীরা এ নিয়ে সরব হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

একই চিত্র দেখা গিয়েছে উত্তর হাওড়াতেও। অথচ, সকালটা শুরু হয়েছিল স্বাভাবিক ভাবেই। উত্তর হাওড়া কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটি বুথেই ছিল লম্বা লাইন। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি। শাসক দলের হাল্কা চোখ রাঙানিও ছিল। বিরোধীদের দু’একটা ছোটখাটো অভিযোগ থাকলেও, বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোটের কোনও ঘটনার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু বেলা যত বেড়েছে, পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিকেলের দিকে বিরোধীরা অভিযোগ করে, স্লগ ওভারে তৃণমূল মরিয়া হয়ে চালিয়ে খেলছে।

Advertisement

বামনগাছি, সালকিয়া, ঘুসুড়ি, গোলাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন বুথ থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। ভোটপ্রক্রিয়ার গতি হঠাত্ই থমকে যায়। বেলা দুটোর পর ভোটারদের ভিড়টাও হাল্কা হতে শুরু করে। তত ক্ষণে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এই সময়েই মাঠে নামে তৃণমূল বাহিনী। একের পর এক বুথ চলে যায় তাদের দখলে। বিরোধীদের অভিযোগ, কমপক্ষে ৭০টা বুথে তৃণমূল রিগিং করেছে।

সালকিয়ার এএস স্কুল, বামনগাছির অরবিন্দ স্কুল, বিদ্যাপীঠ, প্যারাডাইস সেকেন্ডারি স্কুল— সব জায়গাতেই শুরু হয় বেপরোয়া ছাপ্পা। তৃণমূলের মুখচেনা নেতাদের সেই অর্থে দেখা যায়নি, বরং সাধারণ কর্মীরাই এ দিন বিকেল চারটে পর্যন্ত বিভিন্ন বুথে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সকাল থেকে সব জায়গাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে ব্যাপক প্রহরা ছিল, হঠাত্ই দুপুর থেকে তা যেন শিথিল হয়ে পড়ে। বিরোধীরা অভিযোগ করে, সেই সুযোগেই বুথের দখল নেয় শাসক দল।

উত্তর হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং জোটের প্রার্থী সন্তোষ পাঠক নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন। এর পরেই ওই সমস্ত বুথে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছুটে যায়। কয়েকটি জায়গায় লাঠি চালিয়ে ভিড় ফাঁকা করে দেয়। কিন্তু, তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি বলে বিরোধীরা জানিয়েছে। বাহিনীর জওয়ানরা এক বুথ খালি করে অন্য বুথের দিকে রওনা হতেই ফের সেখানে তৃণমূল বাহিনী ফিরে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement