শান্তিপুরের সিকি শতকের বিধায়ক ও তিন দশকের পুরপ্রধান অজয় দে-র দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর দল ছেড়ে চলে যাওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের নদিয়া জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র।
মঙ্গলবার নদিয়ার গয়েশপুরে এক কর্মিসভায় দলের কোন্দল নিয়ে বলতে গিয়ে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মহুয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে শান্তিপুরের প্রবীণ নেতা, তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে-কে হারিয়েছিলেন সে দিনের যুব কংগ্রেস নেতা অরিন্দম। পরে তিনিও তৃণমূলে চলে আসেন। কিন্তু অজয়-অরিন্দম বিবাদ কখনও মেটেনি।
এ দিন কারও নাম না-করে মহুয়া মন্তব্য করেন, “শান্তিপুর আসনটা ঝগড়া করে এরা নষ্ট করে দিয়েছে। এক জন গিয়েছে, অন্য জন গেলে আমি বাঁচি। তৃতীয় ব্যক্তিকে তুলে আনব।” এখানেই না থেমে মহুয়া আরও বলেন, “যে শান্তিপুর পুরসভার ২৫ বছরের চেয়ারম্যানকে তিন দিনের ছেলে এসে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস টিকিটে তিন সপ্তাহ ভোট করে ২০ হাজারে হারিয়ে দিল, তার কী এমন দাম?” যে কেউ চলে যেতে চাইলে দরজা খোলা আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
১৯৯০ থেকে টানা শান্তিপুরের পুরপ্রধান, পরের বছর থেকে বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের অজয় দে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূলের টিকিটে ফের জিতে আসেন। একটি নির্বাচনে হারের যুক্তি দেখিয়ে কি সেই তাঁকেই ব্রাত্য করে দিতে চাইছে তৃণমূল?
অজয় দে বলেন, “যিনি কথাগুলো বলছেন তাঁর অনেক আগে থেকে রাজনীতি করছি। এ ভাবে কর্মীদের ঠেলে অন্য দলে পাঠিয়ে দিয়ে উনি কী ভাল করবেন তা বোধগম্য হচ্ছে না। দলের ক্ষতি করে আসলে বিরোধীদের হাতই উনি শক্ত করছেন না তো?” মহুয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।