স্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজ রায়। নিজস্ব চিত্র।
এক জন গিয়েছেন চেন্নাই। বাকিরা সময় কাটাচ্ছেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আড্ডা মেরে।
বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের সাত বারের বিধায়ক আরএসপির সুভাষ নস্কর। ২০১১ সালে পরিবর্তনের ভোটেও তিনি নিজের গড় অটুট রেখেছিলেন। এ বার জোট হয়েছে। এ বারেও তিনি জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। ফল বেরোনোর আগে নিজেকে পুরোপুরি চাঙ্গা রাখতে চান তিনি। তাই এখন নিজের চিকিৎসা করাতে চেন্নাই গিয়েছেন সুভাষবাবু। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ছোট ছেলে শান্তনু ও স্ত্রী শোভারানীদেবী। সুভাষবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ৩ জুলাই বিধানসভার মধ্যেই তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। তার পর থেকে তিনি চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রায়ই চেন্নাই যান। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে দিনরাত এক করে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারের পরে শরীরে যাতে নতুন করে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই এ বারের চেন্নাই যাত্রা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ১৯ মে-র আগে ফিরে আসবেন। তার পর ভোটের ফল জেনে ফের দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাবেন তিনি। সুভাষবাবুর দাবি, ‘‘জিতব তো বটেই। ভোটের ফল বেরোনোর দিনে যাতে কর্মীদের মধ্যে সুস্থ শরীরে থাকতে পারি তাই চেন্নাইয়ে চেক আপ করাতে যাওয়া।’’
কর্মীদের সঙ্গে আড্ডায় ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী গোবিন্দচন্দ্র নস্কর।
এ বার বাসন্তীতে তৃণমূল প্রার্থী গোবিন্দ নস্করের বয়স ৭৪। সত্তর দশকে কংগ্রেসের আমলে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক এ বার তৃণমূলের বিধায়ক প্রার্থী। সুভাষবাবুর সঙ্গে এ বার তিনি সমানে সমানে লড়াই করেছেন। কিন্তু বয়সের ভার তাঁকে কিছুটা হলেও কাবু করেছে। তাতে অবশ্য গোবিন্দবাবুর উৎসাহে কোনও ভাটা পড়েনি। ভোট শেষ হলেও কলকাতার বাড়ি থেকে বাসন্তী এসে দলীয় কার্যালয়ে বসছেন। কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন। কোন বুথ থেকে কত ভোটে ‘লিড’ আসতে পারে সেই নিয়ে চলছে আলোচনা। গোবিন্দবাবুর কথায়, ‘‘আমি জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং তাদের পাশে থাকতেই বাসন্তীতে আসছি।’’ বাসন্তীর বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজ রায়ের রোজ ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। ভোট মিটলেও তাতে ছেদ পড়েনি। ভোরে এক কাপ চা খেয়ে তিনি সোজা বাজারে হাঁটা লাগাচ্ছেন। সেখানে আরেক এক কাপ চা। তার পর বাজার সেরে বাড়ি। বেলা বাড়লে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব। দুপুরে বাড়ি এসে খেয়েদেয়ে ঘুম। তার মধ্যেই চলছে নিজের ঠিকেদারি ব্যবসার কাজ। পঙ্কজবাবুর কথায়, ‘‘বাসন্তীতে আমি নিজে হাতে বিজেপির সংগঠন তৈরি করেছি। আশা করছি মানুষ আমাকে নিরাশ করবে না।’’