তাঁকে সিআইডি-তে সরিয়ে দেওয়ার পরেও প্রথম দফার ভোটে জঙ্গলমহলে হাজির থেকে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন ভারতী ঘোষ। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট-প্রচারেও সফরসঙ্গী হয়েছেন তিনি। সিপিএম এমন অভিযোগ করায় শেষ দফার ভোটে ভারতীদেবীকে কোনও জেলায় না-যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নবান্নের খবর, কমিশনের বার্তা ভারতীদেবীকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের নির্দেশে বর্তমানে সিআইডি-তে রয়েছেন ভারতী ঘোষ। ভোট ঘোষণার আগে তিনি ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। একই পদে তিন বছর হয়ে যাওয়ায় বিশেষ পদ তৈরি করে তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরেই রেখে দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যে ভোট ঘোষণার পরে বিরেধী দলগুলির পক্ষ থেকে এক যোগে অভিযোগ করা হয়, শাসক দলের হয়ে কাজ করার জন্যই তাঁকে বিশেষ পদ দিয়ে জঙ্গলমহলে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে সিআইডি-তে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।
নবান্নের এক কর্তা এ দিন জানান, প্রথম দফার ভোটে শাসক দলকে সাহায্য করতে ভারতীদেবী জঙ্গলমহলে ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষ দফার ভোটে তিনি যাতে কোচবিহার বা পূর্ব মেদিনীপুর যেতে না পারেন, সেই জন্য কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।