অভিষেকের সভায় ভিড়ে স্বস্তি শাসকদলে

প্রথম দফায় ভোট হবে রাজ্যে জঙ্গলমহলে। শাসক ও বিরোধী দুই দলই পাখির চোখ করেছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের তিনটি কেন্দ্র— রানিবাঁধ, রাইপুর ও তালড্যাংরাকে। বামেদের লক্ষ্য তাঁদের গড় রক্ষা করার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০১:২৪
Share:

নাগালে। সিমলাপালের ময়দানে অভিষেক। —উমাকান্ত ধর

প্রথম দফায় ভোট হবে রাজ্যে জঙ্গলমহলে। শাসক ও বিরোধী দুই দলই পাখির চোখ করেছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের তিনটি কেন্দ্র— রানিবাঁধ, রাইপুর ও তালড্যাংরাকে। বামেদের লক্ষ্য তাঁদের গড় রক্ষা করার। আর সেই চেষ্টা রুখতে শনি এবং রবিবারের জোটের সভার পাল্টা হিসাবে সোমবার রানিবাঁধে সভা করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার হিড়বাঁধের ভুয়াকানার বাগমারি মাঠে সভা করতে আসার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাল বুধবার বারিকুল থানার ফুলকুসমা ও তালড্যাংরায় সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী।

Advertisement

সোমবার দুপুর ১টায় রানিবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডির সমর্থনে রাজকাটার মাঠে সভা করেন অভিষেক। ওই সভার পরে তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সমীর চক্রবর্তীর সমর্থনে সিমলাপালের পাথরডাঙায় অভিষেকের আরও একটি সভা ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার নামার অসুবিধার জন্য সেই সভা শুরু হতে হতে বিকেল সাড়ে চারটে বেজে যায়। যুব তৃণমূলের সভাপতি হেলিকপ্টার নামার আগেই সেই সভায় পৌঁছে গিয়েছিলেন বড়জোড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা সোহম এবং জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। দুটি সভাতেই অভিষেকের বক্তৃতা জুড়ে ছিল বিরোধীদের কটাক্ষ এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি। এ দিনের সভা দু’টিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠ ছাপিয়ে রাস্তা, এমনকী বাড়ির ছাদেও জড়ো হয়েছিলেন অনেকে।

রবিবার রাইপুরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের সভার ভিড় দেখে কপালে কিঞ্চিৎ ভাঁজ পড়েছিল শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের। এ দিনের সভা তাঁদের বেশ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। দ্বন্দ্ব ভুলে তৃণমূলের জেলা নেতা শ্যামল সরকার, জয়ন্ত মিত্র থেকে শুরু করে ব্লক স্তরের নেতা সুনীল মণ্ডল, চিত্ত মাহাতোরা ঝাঁপিয়েছিলেন অভিষেকের সভা সফল করতে। আর ভিড় দেখে চওড়া হাসি ফুটেছে তাঁদের সবার মুখে। জেলা তৃণমূল নেতা জয়ন্ত মিত্রের দাবি, “শুধুমাত্র রানিবাঁধ ব্লকের ২০ হাজারের বেশি মানুষ এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন। মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে রয়েছেন এই ভিড় তারই প্রমাণ।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement