তাঁর ‘অপরাধ’, জোটপ্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। তার জন্য শাস্তিও পেতে হল। হুগলির পুরশুড়া থানার খুশিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সন্তু সাঁতরা নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে শনিবার রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুঠপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুরশুড়া কেন্দ্রে জোট প্রার্থী কংগ্রেসের প্রতীম সিংহ রায় এ ব্যাপারে থানায় বিনয় মণ্ডল, কল্যাণ মালিক সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে সিপিএম নেতৃত্বের একটি দলও খুশিগঞ্জে যায়। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুরশুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়দেব জানার দাবি, ‘‘পুরশুড়ায় জোট প্রার্থী জিতে যাচ্ছে দাবি করে সিপিএম এলাকায় সন্ত্রাস করছিল। স্থানীয় মানুষই তার প্রতিবাদ করেছেন।” পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিপিএম সূত্রে খবর, গত ৩০ এপ্রিল ভোটের দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ তাদের এজেন্ট সন্তুকে টানা হ্যাঁচড়া করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের ছেলেরা। আতঙ্কে দুপুরেই সে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বাড়ি ফিরেছিল। কিন্তু বাড়িতেও নিরাপত্তার অভাববোধ করায় বিকালেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। বাড়িতে ছিলেন তার বাবা স্বপন সাঁতরা এবং মা চাঁপা সাঁতরা। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁরাও ভোটের পর খেতে পাশে প্রতিবেশীর বাড়িতেই রাত কাটাচ্ছেন।
অভিযোগ, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ কিছু ছেলে সাঁতরা পরিবারের বাড়িতে চড়াও হয়ে চালের অ্যাসবেস্টস-সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, লুঠপাট চালায়। প্রতিবেশীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুরশুড়া সিপিএমের জোনাল সদস্য তথা জেলা কমিটির সদস্য অর্চনা মণ্ডল বলেন, “ভোট শেষ হওয়ার পরও তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ। এ বার তাঁরাই তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন”