ভোটের আগের দিন বিরোধী প্রার্থী থেকে নেতার উপরে হামলা হল বারাসত-দমদমে। ভোটযন্ত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বেরিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হল বারাসতের জোট-প্রার্থী, ফব-র সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় বারাসতের ডিপ টিউবওয়েল এলাকায় তাঁকে ঘিরে ধরেন তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক এবং তাঁর দলবল। কেন তিনি ওখানে গিয়েছেন, তা জানতে চেয়ে সঞ্জীববাবুকে হেনস্থা করা হয়। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় মাটিতে। নির্বাচন কমিশন ও থানায় অভিযোগ জানান ওই প্রার্থী। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুপুরে দক্ষিণ দমদমে হামলার শিকার হন এক সিপিএম নেতা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক যুবক। আক্রান্তেরা আঙুল অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ দমদমের তৃণমূল নেতা প্রবীর পাল ওরফে কেটি এবং তাঁর দলবলের দিকেই। থানায় জানানো সত্ত্বেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, দমদম থানার আইসি বদলের পরেও সেখানকার থানার অধিকাংশের মন থেকে রাজনীতি এখনও মুছে যায়নি। ব্যারাকপুর পুলিশের কমিশনার নীরজ সিংহের আশ্বাস, ‘‘কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।’’
দমদমের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের অভিযোগ মিথ্যা। প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে।’’
এ দিনই সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে রবিবার ভাঙড়ের বোদরা, সুদিয়া ও চন্দনেশ্বরে মিছিল করলেন জোট নেতারা। শনিবার ভাঙড়ে ঋতব্রতর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি।