গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ গতি বাড়াতেই সর্বপ্রথম নির্বাচনী প্রচারে বড় জনসভা এবং রোড শো বন্ধ করার ঘোষণা করেছিল সিপিএম। তারপর নেটমাধ্যমে অভিনব কৌশলে প্রচারের আয়োজন করেছে দলের ডিজিটাল শাখা। কিন্তু ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোটে ভোটারদের আরও কাছে পৌঁছে যেতে আরও বিকল্পের সন্ধান শুরু করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভোটারদের কাছে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের জন্য ভোট চেয়ে এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠানোর ভাবনায় রয়েছে সিপিএম। রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। তাই ইচ্ছা সত্ত্বেও ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে ভোটারদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে এমন অভিনব প্রয়াসের সূচনা করা যাবে না বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোটে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এবং এসএমএস বার্তা মারফত ভোট চাওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বড় জনসভা, রোড শো তো বটেই, সম্প্রতি সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছোট ছোট সভা বা অল্প জমায়েতের রাজনৈতিক প্রচারও বন্ধ করতে হবে। নেটমাধ্যমে যেভাবে প্রচার চলছে তা চলবে। পাশাপাশি, প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইতে সরাসরি মোবাইলে বার্তা যাবে। তা কোন বয়ানে লেখা থাকবে সে ব্যাপারেও খসড়া পৌঁছেছে ডিজিটাল টিমের কাছে। সে খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে সিপিএমের ডিজিটাল টিম। সপ্তম এবং অষ্টম দফায় মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও কলকাতায় ভোট। মূলত এই সমস্ত জেলার বাছাই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেই ওই প্রচার হবে।
নতুন এই প্রচার প্রসঙ্গে সিপিএমের ডিজিটাল টিমের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জনতার প্রতি ‘বৃহত্তর দায়বদ্ধতা’র কারণে সব ধরনের প্রচারই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন বামপন্থীরা। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্ব কথা বলেছেন। নেটমাধ্যমে ও ভোটারদের সরাসরি বার্তা পাঠানোর কৌশলে সায় রয়েছে তাঁদেরও। বিরোধী তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের মতো করে প্রচার চালাচ্ছে। ভোটের লড়াইয়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, সেই কারণেই এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানোর ভাবনা। প্রসঙ্গত, এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপে ভোটের বার্তা না পাঠানো হলেও প্রতিদিন নিয়ম করে পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ মোবাইল ফোনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার অনুরোধ জানিয়ে ফোন যাচ্ছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের তরফে ওই ধরনের ফোন করা হচ্ছে। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব ভোটের বার্তা পাঠাবেন সম্পূর্ণ দলের নিজস্ব উদ্যোগে।