আইএসএফ নয়, শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী দিতে চলেছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম। পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসনের জন্য ভাবনায় দু’জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, জেলা সিপিএম নেতৃত্ব দু’জন দলীয় নেতার নাম প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করেছে। প্রথম জন জেলা ডিওয়াইএফআই-এর সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়ক ও দ্বিতীয় জন মহাদেব ভুঁইয়া।
পরিতোষ জেলা যুব সংগঠনের অন্যতম মুখ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সিপিএমের হয়ে কাঁথি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। যদিও, মাত্র ৭৬ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে পরিতোষই। অন্য দিকে, মহাদেব ভুঁইয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জেলা পার্টির একাংশ মনে করছে, মহাদেবই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। তবে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের উপরেই।
১৯৫২ সাল থেকে নন্দীগ্রাম আসনটিতে প্রভাব ছিল বামেদের। সেই সময় থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জয়ী হতেন সিপিআই প্রার্থীরা। ১৯৮২ সালে সিপিআই বামফ্রন্টে যোগ দিলেও নন্দীগ্রাম আসনটি তাদেরই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বামফ্রন্ট। সেই সময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে এই আসনে প্রার্থী দিয়ে এসেছে তারা। কিন্তু এবার বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) যোগ দেওয়ায় সব শরিক দলেরই কম বেশি আসন ছাড়তে হয়। জোটের আলোচনার সময় জানা গিয়েছিল, নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী দিতে চায় আব্বাসের আইএসএফ। এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সেই আসনটি ছাড়ার বিষয়েও সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে আইএসএফ-কে। কিন্তু জোট আলোচনার সর্বশেষ পাওয়া ‘ফল’ অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী দেবে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম।
বামফ্রন্ট শরিক সিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস জোটে আইএসএফ আসার পর সবাইকেই আসন ছাড়তে হচ্ছিল। তাই আমরা নন্দীগ্রাম আসনটি ছেড়ে দিই। প্রথম দিকে শুনেছিলাম নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। কিন্তু এখন জানতে পারছি ওই আসনে প্রার্থী দেবে সিপিএম। তবে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।’’