মুকুল রায় এবং দুলাল বর। ফাইল চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভায় বিদায়ী বিধায়ক দুলাল বরকে বিজেপির প্রার্থী করার দাবিতে নেটমাধ্যমে প্রচার শুরু হল। স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশই বার বার দল বদলানো দুলালের বিরুদ্ধে প্রচারে সামিল হয়েছেন বলে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রের খবর। ফেসবুকে নানা পোস্টের পাশাপাশি লাইভ করেও প্রচার চলছে দুলালের বিরুদ্ধে। যদিও বাগদার বিদায়ী বিধায়ক দুলাল তাতে আমল দিতে চাননি।
বাগদা বিধানসভার সিন্দ্রানীর বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস নেটমাধ্যমে লাইভ করে ‘দুলাল বরকে প্রার্থী চাই না’ বলে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি, বিজেপি নেতা অমৃত লাল বিশ্বাসকে প্রার্থী করবার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে অমৃতলাল বিশ্বাস জানিয়েছেন পার্টি যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁর হয়ে কাজ করব। পার্টি স্যোশাল মিডিয়া দিয়ে চলে না। আমি ৩০ বছরের একনিষ্ঠ কর্মী। দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁর হয়ে কাজ করব।’’
এ প্রসঙ্গে দুলাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত মতামত আছে। ব্যক্তিগত অধিকার আছে। ব্যক্তিগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। যিনি বা যাংরা ফেসবুকে এমন প্রচার করছেন, নিজের দিকে তাকান। ভোটের আগে প্রতিবারই এমন বাজার গরম হয়। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গেলে রাগ ক্ষোভ, প্রশমিত হয়ে যাবে। দলের হয়ে রাস্তায় সকলেই নামবেন। আমার কাছে খবর, বিজেপি থেকেই এখানে ৭৭ জনের নাম জমা পড়েছে। যিনি প্রার্থী হবে তার হয়েই আমরা লড়াই করব।’’
দুলাল-বিতর্ক প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘এটা বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিজেপি কাকে প্রার্থী করল, কি না করল তা ওরা ঠিক করুক। আমাদের বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটার তৃণমূল কর্মীরা অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হবে। বাগদায় বিজেপি অন্তর্দলীয় কোন্দল সকলের জানা। বাগদায় তৃণমূলের জিৎ হবে। বিজেপি যাকেই প্রার্থী করুক, গো হারা হারবে।’’
প্রসঙ্গত, ২০০৬-এ বাগদায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত দুলাল। ২০১১-য় তাঁর পরিবর্তে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসকে প্রার্থী করে তৃণমূল। উপেন সে বার জিতলেও ২০১৬-য় বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল তাঁকে হারান। কিন্তু ২০১৯-এ তৃণমূলে ফেরেন দুলাল। এর পর মুকুলেরহ হাত ধরেই বিজেপি-তে যান দুলাল। বিজেপি তাঁকে দলের রাজ্য এসসি-এসটি সেলের সভাপতি করে।