ফাইল চিত্র
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন। এই দফায় প্রচারের শেষ লগ্নে এসে, বৃহস্পতিবার চারটি সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিনের প্রথম সভাটি হয়েছে হুগলির বলাগড়ে। পরে শ্রীরামপুরে সভা করেন মমতা। এ দিন ডোমজুড় ও বেহালায় সভা করবেন মমতা।
মমতা কী বলছেন, দেখে নিন সরাসরি।
• টাকা দিয়ে জেতা যায় না। টাকা দিলে, টাকা নিয়ে নিন। ওরা রেল বিক্রি করছে, সেল, এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। নোটবন্দির মতো কিছুদিন পর ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেবে। বিজেপি থাকলে সামাজিক নিরাপত্তা থাকবে না। এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা বসে আছেন। বিজেপি-কে হারিয়ে বোল্ড আউট করা হবে। মা-ভাই বোনেদের ভোট দিয়ে জিততে হবে।
• নরেন্দ্র মোদী রোজ আমাকে ভ্যাঙাচ্ছেন। আমাকে ব্যঙ্গ করে কী লাভ। আমি আমার মতো চলি, আপনি আপনার মতো চলুন। বিজেপি রাজনৈতিক সমস্ত সৌজন্য নষ্ট করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বাংলা দখল করতে চাইছে বিজেপি। অবসরপ্রাপ্ত লোকেদের নিয়ে নির্বাচন চালাচ্ছে কমিশন। ভাবছে এ ভাবে চলবে? যাঁদের কথা বলার, তাঁরাও চুপ হয়ে গিয়েছে, ভয়ে কথা বলতে পারছে না। আমি একা লড়াই করে যাচ্ছি। তবে আমি একা নই। আমার সঙ্গে সাধারণ মানুষ আছেন।
• বাংলা কোনওদিনই তোমাদের হবে না। বাংলার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়। ডোমজুড়ের মানুষেরা মাথায় রাখবেন। অনেক কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এলাকায় মা বোনেদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বিজেপি-র হয়ে। আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু এদের শ্রদ্ধা করি না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আবেদন, আপনারা বিজেপি-র হয়ে কাজ করতে গ্রামে গ্রামে যাবেন না।
• একটা ভোটও বিজেপি-কে নয়। এদের মতো শয়তান দল আর নেই। আমাকে ১০টা শোকজ করলেও যায় আসে না। উত্তর একই হবে। নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যাঁরা পাকিস্তানি বলেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ক’টা অভিযোগ হয়েছে? সব হোটেলে ভর্তি ভর্তি টাকা। সবাইকে টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক নেতাকে টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। টাকাতে বিক্রি হয়েছে অনেক গদ্দার। গদ্দার একটা, দুটো হয়, সব হয় না। বাংলায় লড়ে নেবো বিজেপি। এক চোখ দিয়ে জল বেরোচ্ছে, অন্য চোখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে বিজেপি-র। বিজেপি ছদ্মবেশী শয়তান। দৈত্যের দল। দেখবেন ওরা সাধুর পোশাক পরে আসবে। কিন্তু মনে রাখবেন, ওরা শয়তান।
• এই নির্বাচনের পর দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। বছরে চার মাস দুয়ারে সরকার হবে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে খাদ্য, পরিষেবা। দিল্লিতে থেকে গ্যাসের দাম কত করেছে? মানুষের পকেট কেটে গ্যাসের দাম ১ হাজার করেছে বিজেপি। গ্যাসের বদলে ক্যাশ দিলে হবে না। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলেছিল, সেই টাকা চান। এখন এক লক্ষ গুন্ডা নিয়ে বাংলায় পড়ে আছে বিজেপি। বাংলাকে গুজরাত তৈরি করতে দেব না।
• মিথ্যে কথা বলার জন্য ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। সব নাকি ও করেছে, তা হলে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন হত না। আমরা কাজ করেছি, উন্নয়ন করেছি বলে ভোট চাইছি। সাইকেল দেওয়া হয় ছাত্রদের। নির্বাচনের পর সাইকেল পাবেন। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্মার্টফোন কেনার টাকা দেওয়া হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সে বিধবা হলেই টাকা পাবেন মহিলারা। কল্যাণ সকলের জন্য। বিপদে পড়লে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
• এখানে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ডোমজুড়ের ছেলে মেয়েদের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। এখানে ১৯টি প্রকল্পের সূচনা করেছি। ৭২ কোটি টাকার বিনিয়োগ। হাওড়ায় বিপুল শিল্প বিনিয়োগ হচ্ছে। আরও ১২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। একটা গদ্দার মিরজাফরকে আগের বার এখানে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। মানুষের টাকা মেরেছে। শেষ আমায় বলেছিল, কারিগরি দফতর দিতে। তা হলে টাকা চুরি করতে পারত। জিজ্ঞাসা করুন, কত সম্পত্তি করেছে। আগে জানলে অনেক আগে সরিয়ে দিতাম। ভেবেছিলাম, ফর্সা, লম্বা ছেলেটা ভাল, কিন্তু দেখলাম অন্যরকম।