হুগলির শ্রীরামপুরে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে হুগলির শ্রীরামপুরে গিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘তুমি ধোকলা খাও, আমি রসগোল্লা খাব, লাড্ডু খাওয়াতে এস না’।
এক নজরে দেখে নিন কী কী বললেন মমতা।
• আমার মায়েদের দুটো পা আমাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
• এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডাক্তাররা বললেও বিশ্রাম নিইনি।
• শ্রীরামপুরের প্রার্থী মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই তাঁকেই আবার প্রার্থী করেছি।
• বিনা পয়সায় রেশন চান? আমরা জিতলে দুয়ারে দুয়ারে রেশন যাবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাড়িতে পৌঁছে দেব।
• সারা ভারতে ২ কোটি বেকার বেড়েছে। আমাদের বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে। দারিদ্র কমেছে।
• সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।
• আমরা জিতলে তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মায়েরা ১ হাজার টাকা করে হাতখরচ পাবেন। অন্য ক্যাটাগরির যাঁরা আছেন তাঁরাও ৫০০ টাকা পাবেন।
• নোটবন্দির সময় মোদী মা-বোনেদের লক্ষ্মীর বাক্স ভেঙে দিয়েছে। সব টাকা জমা দিতে হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে আবার মা-বোনেদের লক্ষ্মীর বাক্স করে দেব। মাসে মাসে তাঁরা ভাতা পাবেন।
• বিনা পয়সায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, পানীয় জল, কাজ পাবেন।
• নবম শ্রেণির ছেলেমেয়েরা সবুজ সাথীর সাইকেল পাবে বিনামূল্যে।
• অগস্ট মাসে আবার ‘দুয়ারে সরকার’ হবে। যদি কেউ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না পান, সব পেয়ে যাবেন।
• এত কাজ করার পরেও বিজেপি কী ভাবে ভোট চায়? ওরা কী করেছে?
• অমিত শাহের নির্দেশে সব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ওদের কোনও দোষ নেই। আমি সুযোগ পেলে পরে ব্যবস্থা নেব।
• তুমি ধোকলা খাও, আমি রসগোল্লা খাব, লাড্ডু খাওয়াতে এস না।
• সব কিছু বেচে দিচ্ছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে আরও বেচে দেবে। তাই এদের দূর করতে হবে।
• সবাই ভোট দিতে যাবেন। যে ভিতু এজেন্ট তাকে দূর করে দিতে হবে। কেউ ভয় পাবেন না।
• খেলা হবে। একটা করে ভোট মানে তৃণমূলের একটা করে খেলা আর বিজেপি-র একটা করে খালি।
• চাঁপদানিতে বিজেপি-কে রফতানি আর তৃণমূলকে আমদানি করতে হবে।
• আবদুল মান্নানকে জেতাবেন না। ও সিপিএম-এর সঙ্গে মিলে আমাকে খুব জ্বালায়। তাই অরিন্দমকেই জেতাবেন।
• আমার সুজাতা মণ্ডলকে মেরেছে। আমিও সব বুঝে নেব ভোটের পরে। তখন তো কেউ আর থাকবে না। আমি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাব, নজরুলগীতি শোনাব। এ বার সব শুনিয়ে দেব।