ISF

Bengal Election: হাড়োয়ায় আইএসএফ প্রার্থীকে কালো পতাকা তৃণমূলের, প্রাণে মারার চক্রান্ত, বললেন প্রার্থী

শাসনে প্রচারের সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ এলাকায় উপস্থিত ছিল। তাও গোলমাল এড়ানো যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাড়োয়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ১৮:২৫
Share:

নিজস্ব চিত্র

সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর প্রচার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায়। এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে ভোটে লড়ছেন আইএসএফ প্রার্থী কুতুবউদ্দিন পুরকাইত। সোমবার তিনি হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার শাসন-এ প্রচার করতে যান। সেখানেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সমর্থকরা। মিছিলও করল তৃণমূল। কুতুবের জনসংযোগ চলাকালীন রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা, ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে রইলেন তাঁরা। শেষে পরিস্থিতি হাতাহাতিতে গড়াল। আইএসএফ প্রার্থী অভিযোগ তুললেন, তাঁকে প্রাণে মারার চক্রান্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

শাসনে প্রচারের সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ এলাকায় উপস্থিত ছিল। তাও গোলমাল এড়ানো যায়নি। কুতুবের অভিযোগ, তাঁর ও তাঁর দলের সমর্থকদের উপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। কালো পতাকা দেখানোর নামে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘‘যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণে এলাকায় না থাকত, তাহলে সোমবার বড় ঘটনা ঘটতে পারত। প্রতিবাদ করার নামে ওঁরা চড়াও হয়ে জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে। কালো পতাকা, ঝাঁটা, লাঠির পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বোমা, গুলি নিয়েও গোলমাল পাকাতে অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশের সাহায্যেই এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি আমি।’’ প্রচারে উপস্থিত আইএসএফ সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ধাক্কা মেরে ফেল়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

বাম আমল থেকেই শাসন-এ রাজনৈতিক উত্তাপ বেশি থাকে। বিক্ষোভকারী তৃণমূল সমর্থকরা জানিয়েছেন, ‘‘শাসন এখন শান্তিতে আছে। সিপিএম-এর হার্মাদরা কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর পতাকার তলায় এসে ফের শাসন-এ প্রবেশ করতে চাইছে।’’ পাল্টা আইএসএফ-এর বক্তব্য শাসন গ্রাম প়ঞ্চায়েতের বেলেঘাটা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এ কথা মানতে চাননি তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, আগে সিপিএম-এর আমলে বোমা আর গুলির শব্দে ভরে থাকত শাসন। মানুষের মৃত্যু, জখম হওয়া ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখন সে সব নেই। সিপিএম এখন আবার শাসনে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাই প্রতিবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement