রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রঘুনাথপুরের সভার পথে অমিত শাহ। তাঁর সভায় লোক কম বলে কথা উঠেছে। নিজস্ব চিত্র
রঘুনাথপুর কেন্দ্রের একপ্রান্তে নির্বাচনী সভায় এলাকায় শিল্প নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল করে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, রঘুনাথপুরে ইন্ডস্ট্রিয়াল টাউনশিপ তৈরি হচ্ছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র-সহ অনেক শিল্প হচ্ছে, এলাকার যুবকদের কাজ খুঁজতে আর বাইরে যেতে হবে না। এর ঘণ্টা তিনেক পরে রঘুনাথপুরেই সভা করতে এসে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সেই শিল্প নিয়েই বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রীকে। নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম উল্লেখ না করে রাজ্যে হিন্দুস্থান মোটরর্সের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে অমিত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিল্প বন্ধ। নতুন শিল্প হচ্ছে না। তৃণমূলের আমলে রাজ্যে একমাত্র শিল্প বলতে বোমা তৈরির কারখানা চলছে।’’
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকায় পর পর সভা করেছেন দু’দলের দুই হেভিওয়েট নেতানেত্রী। এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ রঘুনাথপুর শহরের এ-টিম গ্রাউন্ডে রঘুনাথপুর, পাড়া ও কাশীপুর এই তিন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন অমিত।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সারদা থেকে নারদ-কাণ্ডের দুর্নীতিতে রাজ্যর শাসকদলের জড়িয়ে পড়া, শিল্পায়ন না হওয়ার মতো বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে বার বার তৃণমূল নেত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সভাস্থলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের কাছে জানতে চান, রাজ্যে যে পরিবর্তনের আশায় কমিউনিস্টদের (বামফ্রন্ট) সরিয়ে তাঁরা তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, সেই পরিবর্তন হয়েছে কি? নিজেই উত্তর দেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল। পাঁচ বছরে সেই স্লোগান ভয়, ভূক ও ভ্রষ্টাচারে বদলে গিয়েছে।”
বাম-কংগ্রেস জোটকেও একহাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দুর্নীতির প্রসঙ্গে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও তৃণমূল একই সারিতে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ দিন এ-টিম গ্রাউন্ডে তিন বিধানসভা কেন্দ্রর মিলিত সভাতে অবশ্য প্রত্যাশিত ভিড় হয়নি। বিজেপির দাবি, হাজার দশেক লোক হয়েছিল সভায়। অবশ্য পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন অমিত শাহের সভায় ভিড় মেরেকেটে হাজার তিনেক। আর রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণচন্দ্র বাউরির কটাক্ষ, ‘‘আমাদের ব্লক স্তরের কর্মসূচিতে ওই লোক হয়।’’