ধরো হাল শক্ত হাতে

রাশটা এখনই শক্ত হাতে টেনে ধরা দরকার। বিপুল জনাদেশে ভর করে দ্বিতীয় বার বাংলার মসনদে আসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও কেন এত হিংসা? শহর, মফস্‌সল, গঞ্জ, অজ পাড়াগাঁ— সব দিক থেকে হিংসার খবর আসছে। রাজনৈতিক হিংসা। বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছেন।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০১:১৫
Share:

রাশটা এখনই শক্ত হাতে টেনে ধরা দরকার।

Advertisement

বিপুল জনাদেশে ভর করে দ্বিতীয় বার বাংলার মসনদে আসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও কেন এত হিংসা?

শহর, মফস্‌সল, গঞ্জ, অজ পাড়াগাঁ— সব দিক থেকে হিংসার খবর আসছে। রাজনৈতিক হিংসা। বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘরবাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে, আগুন জ্বলছে, মাঝ রাতে আলো নিভিয়ে হামলাকারীরা হানা দিচ্ছে, রক্ত ঝরছে, মানুষ ঘরছাড়া হচ্ছেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই এক দল মানুষ হই হই করে হিংসার উল্লাসে নেমে পড়েছে যেন! এর কোনও প্রয়োজন তো নেই। নেত্রীর বার্তাও তো তেমন নয়।

Advertisement

গণতন্ত্রে জনগণই ঈশ্বর, জনাদেশই ঈশ্বরের কৃপা। হিংসাশ্রয়ী পেশীশক্তি গণতন্ত্রে অসুরবৎ। ঈশ্বরের কৃপা যাঁর প্রতি বর্ষিত, এত মানুষ যাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন, তিনি নিশ্চয়ই হিংসায় আস্থা রাখবেন না।

১৯ মে বিকেলেই কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, শান্তি বজায় রাখতে হবে। বিজয়ের হর্ষোল্লাসে কি সেই কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে গিয়েছে? আমি যত দূর জানি, সে কণ্ঠস্বর এত দুর্বল নয় যে উৎসারিত বার্তা সৈনিকদের কান পর্যন্ত পৌঁছবে না। কেউ কেউ শুনেও না শোনার ভান করছেন হয়তো।

ভরসা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ়তায়। আস্থা রয়েছে তাঁর বিবেচনায়, যা নিশ্চয়ই তাঁকে ভুলতে দেবে না, তিনি শুধু তৃণমূলের নেত্রী নন, মুখ্যমন্ত্রীও। আর্তের আকুতি কান পেতে শুনে নেওয়ার অভ্যাস তাঁর রয়েছে। এখনও অবশ্যই শুনতে পাচ্ছেন, দেখতে পাচ্ছেন সবই।

অশ্বমেধ সেরে ফিরে আসা ঘোড়াটার অকারণ দাপাদাপি রুখতে এ বার নিশ্চয়ই লাগামটা কষবেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement