—প্রতীকী ছবি।
অনেক দর কষাকষির পর কংগ্রেসের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র জোট হল ঠিকই। কিন্তু লোকসভা ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে এই জোটকে অশনি সংকেত দিলেন এসপি-র সদ্যপ্রাক্তন বিধায়ক এবং গত কাল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় এসপি-র সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া মনোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার ভোটে ‘ক্রস ভোটিং’ করে এসপি-র তৃতীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়াই শুধু নয়, পাণ্ডে আগামী দিনে বিজেপি বিরোধী রাজনীতিতে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছেন বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। বিজেপি তাঁকে রায়বরেলী থেকে দাঁড় করাতে পারে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এসপি-র যুব শাখায় যোগ দেন পাণ্ডে, অচিরেই হয়ে ওঠেন দলের অন্যতম ব্রাহ্মণ মুখ। আর এক যুবক নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠতে সময় নেননি তিনি। দলের অন্য প্রবীণ নেতাদের উপেক্ষা করে অখিলেশ বিধানসভায় তাঁকেই সচেতক করেন। খুব কম সময়ের জন্য (২০০০ সালে) বিজেপি-তে যোগ দেওয়া ছাড়া মনোজ আস্থা অটুটই রেখেছিলেন। রায়বরেলী নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত উচাহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিন বার বিধায়ক হিসেবে জিতেছেন তিনি এসপি-র টিকিটে। ২০১২ সালে অখিলেশের নেতৃত্বে এসপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে তাঁকে দু’বছরের মধ্যে কৃষি প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এসপি সূত্রের খবর, দলের প্রবীণ নেতা এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মুখ স্বামীপ্রসাদ মৌর্যকে দলছাড়া করার পিছনে ছিলেন মনোজ। মৌর্য পাণ্ডে সম্পর্কে অভিযোগ করলেও চোখ বুজে ছিলেন অখিলেশ।
এসপি থেকে মনোজের বিদায়ে লোকসভা ভোটে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস। তাঁদের পাওয়া সতেরোটি আসনের মধ্যে একটি আসন রায়বরেলী, যা ঐতিহ্যগত ভাবে গান্ধী পরিবারের জন্য ছেড়েছে এসপি। এই আসন থেকে সনিয়া গান্ধী না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, কংগ্রেস অনেকটাই এসপি-র উপর নির্ভরশীল। পাণ্ডে যদিও এখনও এসপি-র প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েননি, নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও ঝেড়ে কাশেননি। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপি এ বার রায়বরেলী থেকে লোকসভায় তাঁকেই দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা করছে। আগে স্থির ছিল, দীনেশপ্রতাপ সিংহ ওই আসন থেকে লড়বেন।