এক মঞ্চে হাজির উত্তম বারিক এবং অখিল গিরি। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবাসরীয় প্রচারে ‘দ্বন্দ্ব ভুলে’ ফের এক মঞ্চে হাজির উত্তম-অখিল। শুক্রবার কাঁথির পর রবিবার রামনগরে এক মঞ্চে হাজির ছিলেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। যা দেখে জল্পনা, যুযুধান ওই দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব তা হলে মিটছে!
তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে রবিবার ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকলেন দুই ফুল— ঘাস এবং পদ্মের প্রার্থীরা। কাঁথি আর রামনগর বিধানসভা এলাকায় চষে বেড়ান তৃণমূলের উত্তম। আর পটাশপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রচার সারেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। এ দিন সকালে কাঁথি -১ ব্লকের হৈপুর এবং রাইপুর পশ্চিম বাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেন উত্তম। সেখানে মোটর বাইক মিছিল করেন তৃণমূলের কর্মীরা। পরে, পথসভাও করেন উত্তম। এরপর বিকেলে রামনগরে জনসভা আয়োজন করা হয়। সেখানে এক মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। উত্তমের পাশে বসেছিলেন যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও জেলা পরিষদের সদস্য আনোয়ারউদ্দিন। এরা সকলেই মন্ত্রী শিবিরের নেতা হিসেবে জেলা তৃণমূলের অন্দরে পরিচিত। সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন দলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভায় হাজির ছিলেন সেই রাজীবও। সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু পটাশপুর-২ ব্লকে খাড়, পটাশপুরের সাতসন্ডা গ্রামে যান এ দিন। চণ্ডী মন্দিরে প্রণাম করে সতসন্ডা গ্রামে জনসংযোগ সারেন। সেখান থেকে ইটাচনা, পাটনা বুথে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন। শ্রীরামপুরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর কর্মী সম্মেলন ও বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি করেছেন রাত পর্যন্ত। পাশাপাশি, এ দিন সন্ধ্যায় কসবা এগরা বিজেপির অঞ্চল সমিতির বৈঠক হয়েছে হরিপুরে। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে পিছিয়ে পড়া বুথ গুলিতে আগামী দিনে জনসংযোগ ও প্রচারের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। কাজলাগড় ও শিমুলিয়া অঞ্চলে কর্মী সম্মেলন এবং মিছিল করে বিজেপি। ভগবানপুরে ভোট প্রচারে ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি স্বপন রায় সহ মন্ডল নেতৃত্বরা। পটাশপুরে ঘরোয়া বৈঠক করে বিজেপি।