অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতারের ঘটনায় আপ তথা বিরোধী শিবিরের চাঞ্চল্য তৈরি হবে, সে হিসেবটা কষেই এগিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু আমেরিকা যে বিষয়টি নিয়ে এতটা স্বর তুলবে, তা আন্দাজের মধ্যে ছিল না নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কিন্তু এখন শিয়রে নির্বাচন। তাই কূটনৈতিক চ্যানেলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দৌত্য করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সময় সুযোগটুকুও কম। তা ছাড়া ভোটের মুখে দাঁড়ানো বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাও আগের তুলনায় নিঃসন্দেহে কম। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এ সবের ফলে ‘বিশ্বগুরু’ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর বাড়তি চাপ তৈরি হল।
তবে ভারতকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কেজরীওয়াল নিয়ে আজ সুর নরম করেছে জার্মানি। দিল্লির তরফে জার্মান কূটনীতিককে ডেকে পাঠানোর পরে জার্মানির বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, “প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার আর স্বাধীনতা নিশ্চিত করে ভারতীয় সংবিধান। এশিয়ায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ভারতও এই মানবাধিকারের আদর্শগুলো পালন করে। দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে।’’ জার্মানির এই সুর বদল দিল্লিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
আমেরিকা যে ভাবে কেজরীর গ্রেফতারির পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ়ের বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছে, তা মোদী সরকারের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “দেশের নির্বাচনী ও আইনি প্রক্রিয়াগুলিতে এই জাতীয় কোনও বাহ্যিক মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতে আইনি প্রক্রিয়াগুলি দেশের আইনের শাসন দ্বারা চালিত হয়। ভারত তার স্বাধীন এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গর্বিত। সেগুলিকে যে কোনও ধরনের অযাচিত বহিরাগত প্রভাব থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’