নোনয়নকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, জলপাইগুড়ি পূর্ত দপ্তরের মোড়ে বামেদের মিছিল আটকে দিল পুলিশ। ছবি - সন্দীপ পাল।
প্রার্থীর সঙ্গে এক মন্ত্রী, এক মেয়র, দলের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার ‘কোর’-প্রক্রিয়ায় এই ছিল তৃণমূলের বিন্যাস। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। মনোনয়নের মিছিলে জেলার প্রথম সারির সব নেতারাই হাজির ছিলেন। কিন্তু জেলাশাসকের দফতরের সামনের ঘেরাটোপ থেকে মনোনয়ন টেবিল পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রার্থীর সঙ্গে চার জনের। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ, চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় ছাড়া, ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বরাইক এবং শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। বাকি নেতারা অপেক্ষা করলেন ঘেরাটোপের বাইরে। দলের এক নেতার কথায়, “গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া যাঁরা পরিচালনা করবেন তাঁরাই এ দিন প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন।”
সূত্রের খবর, সদ্য জেলা পরিষদের মেন্টরের দায়িত্ব পাওয়া চন্দন ভৌমিক জলপাইগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হতে চলেছেন। সে নাম এ দিন জানানো না হলেও, তৃণমূলের তরফে পরে জানানো হবে হবে বলে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তৃণমূলের পরে বামেরাও মিছিল নিয়ে এ দিন প্রার্থী দিতে আসেন। বামেদের মিছিলকে কেন আগেই আটকে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ত দফতরের মোড়ে।
শুক্রবার দুপুরে বামেদের মিছিল যখন পূর্ত দফতরের মোড়ে এসে পৌঁছয় তখন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে চলে গিয়েছেন। সিপিএমের প্রার্থী দেবরাজ বর্মণকে নিয়ে মিছিল পুলিশ আটকে দেয় পূর্ত দফতরের মোড়ে। তৃণমূলের মিছিল অবশ্য জেলাশাসকের দফতরের কাছাকাছি পর্যন্ত গিয়েছিল। বামেরা যখন পূর্ত দফতরের মোড়ে তখন তৃণমূলের মিছিল ছিল আরও আগে। তৃণমূলের মিছিল দেখিয়ে বামেরা পুলিশের কাছে জানতে চান, কেন তাঁদেরও আগে যেতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে শুরু হয় বচসা। শুরু হয় ব্যারিকেডে ধাক্কাধাক্কি। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি থানার আইসি ঘটনাস্থলে এসে বামেদের জানায়, তৃণমূল মিছিল করার জন্য আগে থেকে অনুমতি নিয়েছে। এই যুক্তি শুনে বামেরা আরও ক্ষোভ জানাতে থাকেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র বলেন, “নির্বাচন কমিশন শুধু তৃণমূলকে অনুমতি দেবে, আমাদের দেবে না, এমন হতে পারে না। পুলিশ ভুলে যাচ্ছে, যে এটা পঞ্চায়েত ভোট নয়।”
তৃণমূল এবং বাম প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়ে বার হতে বিকেল গড়িয়ে যায়। তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে বলেন, “সিএএ আইনে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ভোট প্রচারে সেটাই তুলে ধরব।”