—প্রতীকী চিত্র।
ভোটের দিনেও পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে গোষ্ঠীকোন্দল পিছু ছাড়ল না তৃণমূলের। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হলেন তৃণমূলের একাধিক কর্মী। মারামারি করে মাথা ফাটল বেশ কয়েক জনের। সোমবার এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সকাল থেকেই নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গিয়েছে। বার বার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের উপর হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কালনায় তাঁর গাড়িতে ভাঙচুরও হয়। দিলীপের অভিযোগ, দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। এক জনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতী’রা। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের উপর আক্রমণ হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদের অভিযোগ, ‘‘দিলীপ ঘোষ যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই গন্ডগোল হচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু ওরা কর্ণপাত করেনি।’’
এই দ্বন্দ্বের মধ্যে কীর্তি-দিলীপের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গলসি-১ ব্লকের জাগুলিপাড়া গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ এবং মারধরের ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল দুই পক্ষ। ঘটনায় আহত হন তৃণমূলের কর্মী এবং পেশায় দুই টোটোচালক। একে অপরকে লাঠি, রড এবং পাথর দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে।
আহত টোটোচালক শেখ হাসমত স্থানীয় বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর লোক। তিনি রহমত মোল্লার অনুগামী হিসাবে পরিচিত। অন্য দিকে, আহত আজিজুল শেখ গলসি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। টোটো করে ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় এক জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থে যায় পুলিশ।
এ নিয়ে গলসি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জনার্দন বলেন, ‘‘ওটা পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক, কী ঘটনা।’’ অন্য দিকে, গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। ওই গন্ডগোল নিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, ‘‘ভাগ নিয়েই যত গন্ডগোল। তাই মাথা ফাটাফাটির ঘটনা।’’