ভোটের দু’দিন আগেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাতার বিধানসভায় বিজয় মিছিল করল তৃণমূল। ওই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। তৃণমূল টিকিট দিয়েছে ’৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য কীর্তি আজ়াদকে। শুক্রবার যখন বর্ধমানের একটি জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার জন্য দিলীপের রোড-শো আটকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন তখন, ভাতার বাজারে আগাম বিজয় মিছিল করলেন তৃণমূল কর্মীরা। শাসকদলের নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে এক লক্ষের বেশি ভোটে জিতবেন। আর মিছিল দেখে বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘মরার আগে গঙ্গাজল ছিটোচ্ছে।’’
শুক্রবার ভাতার বাজারে তৃণমূলের ওই বিজয় মিছিলে আবির উড়েছে। গান বেজেছে। তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘আমরা ভাতার ব্লকে তো জয় পাবই। সেটা কত ভোটের ব্যবধানে হবে, সেটা দেখার ব্যাপার। কর্মীরা আজ বিজয় মিছিল করলেন। আর বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এক লক্ষ ভোটে জিতব। তাই আজই বিজয় উৎসব হল।’’ ভাতার ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ‘‘ক্লাসের ভাল ছেলে যারা হয়, তারা পাশ নিয়ে চিন্তা করে না। কত শতাংশ নম্বর পাবে, সেটা নিয়ে চিন্তা করে। তৃণমূল যেমন কত ভোটে জয়লাভ করবে, সেটার জন্য অপেক্ষা করছে।’’
ভোটের আগেই বিজয় মিছিল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করলে তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বিধায়ক মানগোবিন্দ বলেন, ‘‘কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি বিজয় উৎসব করে গেলাম। ওরা পারলে আমাদের জয় আটকে দেখাক।’’
এ নিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সব নাটক হচ্ছে। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, ওদের মনোবল একদম তলানিতে ঠেকেছে। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। দিলীপদার সঙ্গে আছে। সেটা বুঝে গিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার জন্য সবুজ আবির নিয়ে খেলছেন। যাতে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো যায়, সেই চেষ্টা করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে বিধানসভা ভোটের পরে অত্যাচার হয়েছিল, সেই পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু রেজ়াল্ট বেরোনোর পর আর মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না ওদের। তাই হয়তো আগেই উল্লাস করে নিচ্ছেন বিধায়ক।’’