—প্রতীকী চিত্র।
ব্রিগেডে জনগর্জনের প্রস্তুতি সভা ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল আরও একবার। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও জেলা সভাপতি আলাদা করে প্রস্তুতি সভা করলেন। ব্লক তৃণমূলের সভাপতির সভায় জেলা সভাপতি ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও জেলা সভাপতির সভায় গরহাজির ছিলেন তাঁরা। বিরোধী দল বিজেপি স্বাভাবিক ভাবেই এর জন্য কটাক্ষ করেছে শাসক দলকে।
ভগবানপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কিছুতেই কমছে না। ব্রিগেডে জনগর্জন সভাকে কেন্দ্র করে তা আরও প্রকট হয়েছে। ভগবানপুর-১ ব্লক সভাপতি রবীন মণ্ডলের উদ্যোগে গত ৫ মার্চ ভগবানপুরের কিশোরপুর প্রাথমিক স্কুল মাঠে তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভা হয়। সভায় কারামন্ত্রী অখিল গিরি-সহ কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক সহ জেলার একাধিক নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। যদিও সেই সভায় কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি শেখ আজিমুল হোসেনকে আমন্ত্রিত করা হয়নি তিনি দাবি করেন। আজিমুল গোষ্ঠীর নেতারা সেই সভায় অনুপস্থিত থাকেন।
শুক্রবার পাল্টা প্রস্তুতি সভা ডাকেন আজিমুল। এই সভা লালপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রের খবর, আজিমুল তরফে জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ ভগবানপুরে একাধিক ব্লক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাঁরা সকলেই গরহাজির ছিলেন। সভায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য উপস্থিতিতে আজিমুলের হাত ধরে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস ও বাম কর্মী তৃণমূলে যোগাদান করেন। শনিবার জেলা সহ সভাপতির তরফে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা ব্লক সভাপতি রবীন মণ্ডলকে আমন্ত্রণ করার দাবি জানানো হয়। যদিও আজিমুলের আমন্ত্রণের কথা অস্বীকার করেছে ব্লক সভাপতি।
কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি শেখ আজিমুল হোসেন বলেন, ‘‘কিশোরপুরের সভায় আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। শুক্রবার লালপুরে ব্লক তৃণমূলের সভায় সকল ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ করা হয়। অন্য কর্মসূচি থাকায় তাঁরা সভায় আসতে পারেননি। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রবীন মণ্ডলের কথায়, ‘‘শনিবার লালপুরে এই ধরনের কোনও সভা হয়েছিল বলে জানা নেই। দল বড় হয়েছে। কে কোথায় সভা করছে নজরে নেই।’’ ঘটনাকে কটাক্ষ করে কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের সবটাই হল ভাগবাঁটোয়া নিয়ে গণ্ডগোল। শাসক দলের নেতারা একে অপরকে টেক্কা দিতে এই সব করছেন।’’