বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস। —ফাইল চিত্র।
লম্বা টালবাহানার পরে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই প্রার্থীকেও বদলের দাবিতে বিজেপি দফকরে ‘বিক্ষোভ’ দেখালেন দলের কিছু কর্মী-সমর্থক। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য এমন বিক্ষোভের কথা মানতেই নারাজ।
বিধাননগরে বিজেপির নয়া রাজ্য দফতরে বুধবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের এক দল কর্মী-সমর্থক হাজির হন। সূত্রের খবর, প্রার্থী বদল ও নির্বাচনের কাজে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়ার দাবিতে দফতরের বাইরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নিজেদের দাবি একটি কাগজে লিখে দফতরে জমাও দেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির তরফে এই বিক্ষোভের কথা স্বীকার করা হয়নি। বিক্ষোভকারীদের তরফেও দাবি করা হয়েছে, দল যখন প্রার্থী ঘোষণা করেছে, অপছন্দ হলেও তাঁরা মানতে বাধ্য। কিন্তু তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু ‘শর্ত’ রয়েছে, যে দাবিগুলো তাঁরা লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। সেই সময়ে রাজ্য বিজেপির বিধাননগরের দফতর কার্যত খালি ছিল। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হাতে গোনা কয়েক জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। প্রতাপ বলেন, “কোনও বিক্ষোভ হয়নি। কোনও দাবিপত্রও জমা পড়েনি। কয়েক জন সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য দফতরে এসেছিলেন। অমিতাভের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমরা তাঁদের কথা শুনেছি। কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলব না।” যাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে আপত্তি, সেই অভিজিৎ (ববি) দাস বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনা আমি শুনিনি। না শুনে প্রতিক্রিয়া দেব না। আমার নাম ঘোষণার পর থেকে প্রচুর সংবর্ধনা পেয়েছি। সবাই চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে। যদি এমন কিছু হয়েও থাকে, বড় দল, ঠিক সামলে নেবে।”