—প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সফরে এসে সন্দেশখালির প্রেক্ষিতে বাংলার নারীশক্তিকে দুর্গা বলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং সদ্য প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে বিঁধেছেন তৃণমূলকে। আজ পাল্টা ভাষ্য নিয়ে ভোট ময়দানে প্রচারে নামল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, “বিজেপি যে লোকসভা ভোটের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে ১৪ শতাংশ নারী। এর আগে তাদের লোকসভায় নারী প্রতিনিধি ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। বিজেপি এবং আরএসএস-র নারীবিদ্বেষী মানসিকতা এখানেই প্রতিফলিত।” তাঁর কথায়, “এক প্রাক্তন আরএসএস প্রধান বলেছিলেন, মহিলাদের বাড়িতে থেকে রান্নাবান্না করা উচিত! বিজেপির আদর্শগত ভিত্তি হল আরএসএস। আরএসএসএর শাখায় কি মহিলাদের নেওয়া হয়? ফলে নারী দিবসে (৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী নারীবিদ্বেষকে আড়াল করে নারীশক্তির কথা বলছেন।”
প্রধানমন্ত্রী এ বার তাঁর নির্বাচনে নারীশক্তিকে সামনে নিয়ে এসে প্রচারের সুর বাঁধতে চাইছেন। দেশের একমাত্র নারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে এসেও তার অন্যথা হয়নি। ভোটের মুখে তাই পাল্টা প্রচার অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের। তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানো হচ্ছে, ঘটা করে গোটা দেশে নারীদের জন্য যে যোজনা কেন্দ্রীয় সরকার এনেছিল, সেগুলি সবই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সুদূর ছত্তীসগঢ় থেকে হাজার হাজার মহিলা কৃষক পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লির সীমানায় অস্থায়ী তাবু করে রয়েছেন। তাঁরা মোদীর সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতা করছেন। এনসিআরবি (ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো)-র তথ্য তুলে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে যত কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন, তাঁদের ১০ শতাংশ মহিলা।
একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরির প্রসঙ্গ তুলে ডেরেকের বক্তব্য, “যথেষ্ট ভাল কাজ করা সত্ত্বেও বাংলার ৫৯ লাখ শ্রমিকের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মহিলা। জীবনযাপনের রসদটুকুও তাঁদের কাছে নেই। একশো দিনের কাজ শুধুমাত্র আইন নয়, সংসদে করা দেশের মানুষ এবং বিশেষত নারীদের জন্য নেওয়া শপথ। আজ সেই শপথ খণ্ডন করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সভাপতি এবং বিজেপির লোকসভা সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহের কীর্তি কাহিনী নথিবদ্ধ রয়েছে। লোকসভায় যে দিন মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হল তিনি উপস্থিত ছিলেন। এর থেকে বড় ঠাট্টা মহিলাদের সঙ্গে আর কী হতে পারে!”