—প্রতীকী ছবি।
সিপিএম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু এর মধ্যেই শনিবার রাতে হঠাৎ ভার্চুয়ালি রাজ্য কমিটির বৈঠক করল সিপিএম। জানা গিয়েছে, রাত্রি ১০টা নাগাদ রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় সওয়া ১১টা নাগাদ।
সিপিএম সূত্রে খবর, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে বেশ কিছুটা কথা এগিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বামফ্রন্টের দু’একটি শরিক দল। শরিকেরা তাদের ভাগের আসন ছাড়তে রাজি নয়। আবার সিপিএমও ‘বাস্তবতা’র নিরিখে সবটা দেখতে চেয়েছে।
সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল আইএসএফ। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ শুক্রবার বিকেলে আটটি আসনে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে আবার রয়েছে বামফ্রন্টের ঘোষণা করা আসনও। যেমন, যাদবপুর। তবে নওশাদের দল জানিয়েছে, যাদবপুর আসন তারা ছেড়ে দিতে পারে যদি সেখানে সিপিএম প্রার্থী করে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যকে। আইএসএফের এ হেন ‘শর্ত’ অগ্রাহ্য করেই সিপিএম যাদবপুরে প্রার্থী করেছে তরুণ নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিকাশকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইএসএফের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
সিপিএম সূত্রে আরও খবর, রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে জানানো হয়েছে ফ্রন্টের শরিকদলগুলির অনেকেই ‘অবাস্তব বায়না করেছে’। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, রাজ্য সম্পাদক সেলিম এ-ও বার্তা দিয়েছেন, বামফ্রন্ট রাখা হবে কি হবে না ভেবে দেখা হোক। সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের ভূমিকা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আরও এক দফা রাজ্য কমিটির বৈঠক হতে পারে। তার আগে বা পরে সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে একক ভাবে আলোচনা করছে সিপিএম। ফ্রন্টের শরিকদলগুলি সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে আলিমুদ্দিনের কাঁধে। কিন্তু আলিমুদ্দিনও কংগ্রেসের বাস্তবতার নিরিখে দেখতে চাইছে। রবিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে কী হয় সে দিকে নজর থাকবে।