—প্রতীকী চিত্র।
বুথে গিয়ে নয়, বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের (৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকা মানুষ) জন্য বাড়িতে বসে ‘হোম ভোটিং’- এর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় ৪০ হাজার প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রয়েছেন, যাঁরা 'হোম ভোটিং'-এর সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের মধ্যে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে ১১৫১৭ জন বয়স্ক ও ১০২৪৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ রয়েছেন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যাটা যথাক্রমে ৮৪০২ ও ৯৯০৫। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে ‘হোম ভোটিং’-এর সুবিধা প্রাপকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নামের তালিকা বুথ স্তরের আধিকারিকদের পাঠানো হবে। তবে ‘হোম ভোটিং’-এর সুবিধা তাঁরা নেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ভোটারকেই নিতে হবে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বুথ স্তরের আধিকারিকেরা ওই ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলবেন। ইচ্ছুক ভোটারদের বিশেষ আবেদনপত্র (১২ ডি) দেওয়া হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ‘হোম ভোটিং’-এর ব্যবস্থা করা হবে।
কী ভাবে ভোট দেবেন ওই ভোটারেরা? প্রশাসন জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ভোট হবে ব্যালটে। দু’জন ভোটকর্মী, এক জন ভিডিয়োগ্রাফার, এক জন ‘মাইক্রো অবজ়ার্ভার’ ও পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতে ভোট হবে। জেলায় মনোনয়ন-পর্ব শুরু হওয়ার সময়েই ‘হোম ভোটিং’-এর যোগ্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা। তবে এ বারই প্রথম নয়, করোনা-পরবর্তীতে সময়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনেও ‘হোম ভোটিং’-এর সুবিধা ছিল। সে সময়ে জেলার বহু ভোটার ওই পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছিলেন।
এ দিকে, সোমবার বাঁকুড়া জেলাশাসকের উপস্থিতিতে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। জেলাশাসক সিয়াদ এন ছাড়াও ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকেরা। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা কী ভাবে ভোটের খরচের হিসেব পেশ করবে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, আদর্শ আচরণ-বিধি ও নানা নিয়ম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে সচেতন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “এক জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৯৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভোটে খরচ করতে পারেন। খরচের নজরদারি চালাতে জেলায় ছ'জনের ‘এক্সপেন্ডিচার মনিটরিং টিম’ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিষয়টি দেখার জন্য বিশেষ আধিকারিকও রয়েছেন।”