—প্রতীকী ছবি।
বুথে বুথে সংখ্যালঘু ভোট কত পড়েছে, তার রিপোর্ট-সহ নেতাদের তলব করল বিজেপি। আজ, রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা পার্টি অফিসে লোকসভা ভোট-পরবর্তী প্রথম জেলা স্তরের বিশ্লেষণী বৈঠক হবে। সেখানে তিনটি মূল রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে নেতা এবং পদাধিকারীদের। বুথে বুথে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, কত জন পুরুষ এবং মহিলা ভোট দিয়েছেন এবং সংখ্যালঘু ভোটের শতাংশ কতটা। বিজেপির একটি অংশের দাবি, এই তিন তথ্যের মধ্যেই জলপাইগুড়ি আসনের জয়-পরাজয়ের গতিপ্রকৃতির ইঙ্গিত রয়েছে। এর আগে বিধানসভাভিত্তিক বৈঠক হয়েছে বিজেপিতে। সেই বৈঠকে বুথে বসা এজেন্টরা ছিলেন। সেখানে বিধানসভার ‘তথ্য’ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভার ‘তথ্য’ নিয়েই আজ জলপাইগুড়িতে বৈঠক। জেলা কমিটির সব সদস্য, সব বিধায়ক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদেরও ডাকা হয়েছে বৈঠকে।
বিজেপি সূত্রের খবর, জেলার উনিশশোরও বেশি বুথে ভোট করতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুর্বল সংগঠন নিয়ে। দু’হাজারের কাছাকাছি বুথ কমিটি থাকলেও অন্তত ৩৫০ থেকে ৪০০ বুথে দলের কোনও কমিটি ছিল না বলে মেনে নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও ভোটের দিন সেই সব বুথের অনেকগুলিতে এজেন্ট বসানো সম্ভব হয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, “হয় পাশের বুথের কাউকে, নয়তো অরাজনৈতিক কোনও যুবককেও অনুরোধ করে এজেন্ট হিসেবে বসানো গিয়েছে।” বিজেপির দাবি, চারশোর কাছাকাছি এই বুথের অধিকাংশ সংখ্যালঘুপ্রধান এলাকায়।
প্রতি বুথে সংখ্যালঘু ভোট শতাংশের ব্যাখ্যা কেন চাইতে হচ্ছে বিজেপিকে? গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে এই মাপকাঠি স্থির করা হয়েছে। সে বছর সংখ্যালঘুপ্রধান এলাকাগুলিতে তৃণমূল একচেটিয়া ভোট পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। বুথের ৯০ বা তারও বেশি শতাংশ ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল সে বার। সে কারণেই এ বার সংখ্যালঘু ভোটের হদিস চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “আমরা চা বলয়ের ভোট, আদিবাসী, রাজবংশী সব এলাকায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে, সেটা জানতে চাইছি। তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা এ বারও করেছে। কিন্তু সফল হবে না।” জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “বিজেপি যতই হিসেব করুক, বাংলা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে।” বিজেপি সূত্রের খবর, প্রায় সব এলাকাতেই গত লোকসভার থেকে ভোট শতাংশ তুলনামূলক কমেছে এ বার। কাদের ভোট বুথে এল না সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে বিজেপি।