—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাত পোহালেই আজ, মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ভোট-গণনা। তার আগে ২০২১ সালের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গণনা-কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন। তৃণমূল কংগ্রেস গণনা প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএমও। যদিও, তৃণমূল অভিযোগে আমল দেয়নি।
নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো কাউন্টিং এজেন্ট’ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এর পরে রবিবার শুভেন্দু এক্স হ্যান্ড্লে দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ডিআইজি (নিরাপত্তা) কলকাতায় নিরাপত্তা অধিকর্তার দফতরে বৈঠক করে প্রতিটি গণনা-কেন্দ্রে ডিরেক্টরেটের এক জন অফিসার ও দু’জন কনস্টেবল যাতে সাদা পোশাকে উপস্থিত থাকেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল গণনা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘নির্বাচন কমিশন এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) সতর্ক থাকতে হবে। গণনা-কেন্দ্রগুলিতে অনুমতিহীন ব্যক্তিদের প্রবেশ বন্ধে সব নিয়ম যাতে মানা হয়, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত’।
বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমও গণনা প্রক্রিয়ায় অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করার অভিযোগ তুলে সিইও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তারা ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের গণনার কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে, ওই কর্মীরা তৃণমূলের গণনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারেন। ওই কর্মীদের গণনার কাজে লাগানো যে বেআইনি, তার সমর্থনে বিভিন্ন নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সিপিএম এ দিন কমিশনের কাছে ৬ দফা বক্তব্য জানিয়েছে। জাল পরিচয়পত্র নিয়ে গণনা-কেন্দ্রে ভুয়ো লোকজন ঢুকতে পারে, এমন আশঙ্কাও করেছে তারা। সেই সঙ্গে গণনা-কেন্দ্রের ভিতরে এবং বাইরে ‘কাউন্টিং এজেন্টদের’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে সিপিএম।
যদিও বিরোধীদের এই সব আশঙ্কা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। তার পরেও এত কথা! হারবে বুঝে নাটক করছে। এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতা নেই, আবার বড় বড় কথা!”