কর্নাটকের মন্ত্রী এস তাঙ্গাদাগি। ছবি: সংগৃহীত।
যে সব পড়ুয়া ‘মোদী, মোদী’ স্লোগান তুলবেন, তাঁদের চড় মারা উচিত। এমনই মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী এস তাঙ্গাদাগি। কোপালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তাঙ্গাদাগি। সেখানে একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হন মন্ত্রী। তাঁর কথা বলতে গিয়েই ‘পড়ুয়াদের চড় মারা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। মন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি দিতে পেরেছেন কি? ওঁদের লজ্জা হওয়া উচিত। যে সব ছাত্রযুব মোদী মোদী জপছেন, তাঁদের চড় মারা উচিত।” নির্বাচন এসেছে। বিজেপিও প্রচারে নেমেছে। কিন্তু কোন মুখে ওরা ভোট চাইছে, প্রশ্ন মন্ত্রী তাঙ্গাদাগির। তাঁর কথায়, “যুবরা যখন কাজ চাইছেন, তখন ওঁদের বলা হচ্ছে পকোড়া বিক্রি করুন। বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত।”
মন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে বিজেপি। দলের নেতা অমিত মালবীয় বলেন, “কংগ্রেসের মন্ত্রী যিনি আবার রাজ্যে সাংস্কৃতিক দফতর চালান, তাঁর মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। যুব সম্প্রদায়কে নিশানা বানিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের অগ্রগতি হয়নি। বরং আরও ক্ষতিই হয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই রাহুল গান্ধীকে যুবরা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার তুলে দিয়েছেন।”
ভোট আসতেই কুকথা, ব্যক্তি আক্রমণের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে দিকে দিকে। রাজনৈতিক নেতারা কখনও কখনও লাগামছাড়া কথা বলে বিতর্কের মুখে পড়ছেন। তা সে শাসকদলই হোক বা বিরোধী দল। আর এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমাও পড়ছে বিস্তর। কর্নাটকের মন্ত্রীর এই বিতর্কিত মন্তব্যে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলা হয়েছে।