ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
ঠিক এক মাস আগে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কাশ্মীরের প্রবীণ নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতার কাছে আবেদন রাখছি একত্রে থাকুন। বিজেপি-র বিরুদ্ধে একটি সাধারণ প্রার্থী দিন।”
কার্যক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে এনসি-র জোট হলেও পিডিপি মুখোমুখি লড়ছে ওমর আবদুল্লার দলের সঙ্গে। শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রচার অভিযান শুরু করলেন এনসি-র সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লা। ওই একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পরস্পর যুযুধান এনসি-র প্রার্থী মিঞা আলতাফ এবং পিডিপি-র প্রধান মেহবুবা মুফতি। আলতাফের সঙ্গে ছিলেন এনসি-র জোটসঙ্গী কংগ্রেস নেতা জি এ মীর। অন্য দিকে বাবা মুফতি মহম্মদ সইদের কবরে প্রার্থনা করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মেহবুবা। উভয় দলের সমর্থকদেরই দেখা যায় পৃথক ভাবে স্লোগান দিতে। কিছু ক্ষেত্রে একে অন্যের বিরুদ্ধেও।
ওমর আবদুল্লার বক্তব্য, গত ১০ বছরে অর্থাৎ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় শাসনে বহুবার পিডিপি-কে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে তাঁর দল। বিশেষ করে ২০১৮ সালে মুফতি সরকারের উপর থেকে বিজেপি সমর্থন তুলে নেওয়ার পর থেকে। কিন্তু পিডিপি অন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা করে চলার পক্ষপাতী নয়। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে এই অনন্তনাগ আসনটিতে জম্মুর হিন্দু অধ্যুষিত অংশ জুড়েছে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, কোনও ভাবে কাশ্মীরে নিজেদের পায়ের ছাপ রাখা। এনসি এবং পিডিপি পরস্পরের ভোট কাটার ফলে এই আসনে বিজেপি-র ভোট শতাংশ যে বাড়বে সেটুকু এখনই বলা যায়।