—প্রতীকী চিত্র।
আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বদলে উত্তর দিনাজপুরের ‘ভূমিপূত্র’ কিংবা ‘ভূমিকন্যাকে’ রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব জেলা বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলের অন্দরে দুই বিজেপি বিধায়ক এবং এক প্রবীণ অভিনেত্রীর নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সোমবার রাতে একাধিক ব্যাগ নিয়ে রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন দেবশ্রী। ওই দিন রাত পৌনে ১০টা নাগাদ রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরেন সাংসদ। তাঁকে ছাড়তে স্টেশনে গিয়েছিলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। দেবশ্রী রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জের প্রার্থী ঘোষণার আগে, দেবশ্রীর ‘মালপত্র’ নিয়ে রায়গঞ্জ ছাড়া নিয়ে, মঙ্গলবার দিনভর দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে দেবশ্রীর দাবি, ‘‘রায়গঞ্জে বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, তা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন। আমি আমার ও আমার ভাইয়ের ব্যবহারের জিনিস কলকাতার বাড়িতে রেখে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিয়ে, ১০ মার্চ রায়গঞ্জে ফিরব।’’
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর নাম নিয়ে চর্চা রয়েছে। ভোট-হাওয়ায় যে প্রবীণ অভিনেত্রীর নাম ভাসছে, তিনিও জেলার বাসিন্দা নন বলে দাবি বিজেপি সূত্রের। তাতে ফের সুর চড়াতে শুরু করেছেন জেলা বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের তরফে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, ‘‘দেবশ্রী কলকাতার বাসিন্দা। তিনি রায়গঞ্জে ‘বহিরাগত’। তাই এ বারের লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তাঁর বদলে জেলার ভূমিপূত্র কিংবা ভূমিকন্যা কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে জেলা জুড়ে বিজেপির বহু নেতা-নেত্রী আন্দোলন করছেন। এখন যাঁদের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শুনছি, তাঁরাও বহিরাগত।’’ আর এক বিক্ষুব্ধ নেত্রী বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি বীণা ঝা বলেন, ‘‘দল রায়গঞ্জে বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করলে, ফের আন্দোলনে নামব। বহিরাগতেরা কেউ সাংসদ হলে, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ভাববেন না। তাঁরা বছরের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন। দেবশ্রীকে দেখেই আমরা এ সব জেনেছি।’’
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর এই দিন বলেন, ‘‘প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।’’ আর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোকের বক্তব্য, ‘‘আমি সাংসদ হতে চাইছি না। আমি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এসেছি।’’