সৌগত রায়। —ফাইল চিত্র।
সভাস্থলের দিকে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দিয়েছেন খবর পেয়েই বক্তৃতা করতে শুরু করেছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়। আচমকাই তাঁর তাল কাটল, ‘জনগণের গর্জন, বাংলার বিরোধীদের বিসর্জন’ গান বেজে উঠতে। রেগে গিয়ে সৌগত দাবি তুললেন, গান বন্ধ করতে। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে মাইকের আওয়াজ বাড়তে লাগল! এবং শেষমেশ বক্তব্য থামিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নেমে গেলেন সৌগত।
পানিহাটির সভায় বুধবার এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতৃত্বের অনেককেই। আবার পরবর্তী সময়ে একাংশের মন্তব্য, ‘‘সৌগতদা বুঝতে পারেননি, দল এখন আধুনিক। কর্পোরেট স্টাইলে চলে। শীর্ষ নেতৃত্ব সভাস্থলে প্রবেশের সময়ে এখন ওই গানটি বাজানো হয়, তা হয়তো উনি জানতেন না।’’ প্রথমে এ দিন খড়দহের সূর্য সেন খেলার মাঠে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি রওনা দেন পানিহাটি ও কামারহাটির সংযোগস্থল, আগরপাড়া বিবেকানন্দ সমিতির মাঠের জনসভার দিকে। মুখ্যমন্ত্রীর রওনার খবর পেয়েই মঞ্চে দেশ ও রাজ্যের অবস্থা নিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন তিন বারের সাংসদ সৌগত। এর মধ্যেই খবর আসে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ অতিক্রম করে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সভাস্থলের কাছাকাছি চলে এসেছে। তখনই বাজানো শুরু হয় লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে শাসক দলের নির্বাচনী ‘থিম-সং’। তাতে রেগে গিয়ে সৌগত বলতে থাকেন, ‘‘গান বন্ধ করুন!’’ বিরক্ত সৌগতকে এর পরে নিরাপত্তারক্ষীরাও জানিয়ে দেন, গান বন্ধ করা যাবে না। তার পরে সৌগত বক্তব্য থামালেও গান বাজতে থাকে নিজের মতো। তাতে সভাস্থলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকেরাও সমস্বরে ‘জয় বাংলা’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পরে অবশ্য সৌগত ফের কিছুক্ষণ বক্তৃতা করেন।
মঞ্চে কামরাহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে ডেকে এ দিন একান্তে কথা বলেছেন মমতা। এর পরে মদনকে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনের ঠিক পিছনে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর জন্য নির্দিষ্ট করা চেয়ারে বসে পড়তে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য সে ভাবে ভোটের ময়দানে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। তবে এ দিন সভার শেষে মদনের দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমি মিটিংয়ে বসে থাকলেই অনেক।’’