দার্জিলিং কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাং।
দলের অন্দরে অস্বস্তি বজায় রেখেই দার্জিলিং কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাং শেষ দিন, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা করলেন। প্রার্থীর সঙ্গে হামরো পার্টি, সিপিএম, সমতলে কংগ্রেস নেতারা উপস্থিত থাকলেও পাহাড়ের বিনয় তামাং-সহ অনেক নেতাই অনুপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের অন্দরে অস্বস্তি অবশ্য থেকেই গেল। বিশেষ করে, কংগ্রেস দফতরে না গিয়ে হামরো পার্টির দফতরের সামনে জমায়েত, ছোট সভা করে মনোনয়ন দিলেন প্রার্থী। আর ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর সঙ্গে বিকেল অবধি প্রার্থীর যোগাযোগ না হওয়ায় পাহাড় কংগ্রেসের নিজেদের প্রচার কতটা হবে, সংশয় রয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাং অবশ্য বলেছেন, ‘‘মনোনয়মন জমা দিলাম। পাহাড়ের মানুষের দাবিদাওয়া, ১১ জনজাতির তফসিলি স্বীকৃতি নিয়ে কাজ করতে চাই। মানুষের আশীর্বাদ পাব আশা করছি। আর বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নেই। উনি দলের জন্য কাজ করবেন বলে আশা করছি।’’ তিনি জানান, পাহাড়ে পার্বত্য পরিষদ থেকে জিটিএ, ভাষার স্বীকৃতি মতো সব কিছুই কংগ্রেসের হাত ধরেই হয়েছে।
মনোনয়নের জমায়েতে মুনীশের সঙ্গে সব জায়গাতেই অজয় এডওয়ার্ডকে দেখা দিয়েছে। তাঁদের পাশে ছিলেন কংগ্রেসের সমতলের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার, সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, চা আন্দোলনের নেতা জিয়াউল আলম, তারা সুনাদাসেরা। কংগ্রেস শুধুমাত্র দুই নেতা সরোজ খাতরি এবং দিলীপ প্রধানকে দেখা গিয়েছে। তবে কংগ্রেস, সিপিএমের পতাকা থাকলেও হামরো পার্টির পতাকাই সর্বত্র ছেয়ে ছিল। কংগ্রেসিদের অনেকেই তা দেখে বলেছেন, প্রার্থী কংগ্রেসের থেকে বেশি হামরো পার্টির বলেই মনে হয়েছে। অজয় এডওয়ার্ডই সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রার্থী ঘোষণার পর তিনদিন চলে গেলেও মুনীশ এখনও কংগ্রেসের পাহাড়া বা সমতলের নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বসেননি। তেমনিই, বাম নেতৃত্বের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক হয়নি। বামেরা সমতলে নিজেদের মতো প্রচার শুরু করে দিলেও কংগ্রেস দলের তরফে এখনও কোথাও কোনও হোর্ডিং, ফ্লেক্স চোখে পড়েনি। পাহাড়ে হামরো পার্টির তরফেই প্রার্থীর প্রচার চলছে। প্রদেশ কংগ্রেসের পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং পাহাড়েই ছিলেন। তবে দলের মনোনয়ন বা মিছিলে তিনি যাননি।
বিনয় বলেন, ‘‘আমি প্রদেশ কংগ্রেসের তারকা প্রচারের তালিকায় আছি। অন্য জায়গায় প্রচার করব। পাহাড়ে মুনীশ তামাংয়ের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। দলের সবাই জানে। এ নিয়ে আমার কিছু করার নেই।’’