Lok Sabha Election 2024

সুবিধা মেলেনি,শুনলেন শতাব্দী

রাওতাড়া গ্রামে প্রচারে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা শতাব্দীর কাছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২২
Share:

ভোটের প্রচারে এসে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। শনিবার মহম্মদবাজারের রাওতাড়া গ্রামে । ছবি: পাপাই বাগদি।

তিন বারের সাংসদ এবং চতুর্থ বারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে আবাস যোজনার বাড়ি ও ১০০ দিনের কাজের টাকা না-পাওয়া এবংবিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না-পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন গ্রামবাসী।

Advertisement

শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজার ব্লকের পুরাতনগ্রাম পঞ্চায়েতের রাওতাড়া গ্রামে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ দিন সাঁইথিয়া বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত মহম্মদবাজারের পুরাতনগ্রাম, ডেউচা ও মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার সারছিলেন বিদায়ী সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতি সাহা এবং ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ।

রাওতাড়া গ্রামে প্রচারে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা শতাব্দীর কাছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, যাঁরা দল (তৃণমূল) করছেন, একমাত্র তাঁরাই সরকারি বাড়ি, ১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ বিভিন্ন ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। পাশাপাশি এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা ও দ্বারকা নদের সেতুর দাবিও জানানো হয় বিদায়ী সাংসদের কাছে। রাওতাড়ার বাসিন্দা কনেজা বিবি ও সাইফুল শেখরা বলেন, ‘‘যারা পার্টি করছে, তারা সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। যারা করে না, তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। আমরা প্রার্থীকে জানালাম, সারা বছর আমাদের কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। দিদি আমাদের সমস্যা শোনার পরে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

Advertisement

আর এক স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় চৌধুরী জানান, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, পুরাতনগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার। স্থায়ী ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করার দাবিও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এ ছাড়াও সেকেড্ডা ও পুরাতনগ্রামের মাঝে দ্বারকা নদের অস্থায়ী সেতু বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে নতুন সেতু বানানোর আবেদন আমরা জানালাম। দিদি সমস্যাগুলি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গ‌ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ শতাব্দী পরে বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি বলেছেন কয়েক জন। পঞ্চায়েত থেকে কেন তাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি, সেটা আমি দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement