প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। —ফাইল চিত্র।
বাংলা সাহিত্যে অতি প্রিয় চরিত্র ‘কাকাবাবু’। ‘চাচা চৌধরি’ কার্টুন চরিত্রটি জনপ্রিয় উত্তর ভারত-সহ গোটা দেশে। ‘চাচা কাহিনী’ বাংলা ধ্রুপদী সাহিত্যে জায়গা করে নিয়েছে সৈয়দ মুজতবা আলির লেখনীর মাধ্যমে।
সাহিত্যে নয়, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এ বার রাজনীতির ময়দানে এলেন ‘আঙ্কলজি’! সম্বোধক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, রাহুল গান্ধী এবং এআইসিসি-র নেতারা। সম্বোধনটি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কেন এই সম্বোধন প্রিয়ঙ্কা তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গুজরাতেই এক জনসভায় নিজস্ব ভঙ্গিতে। গত কাল ওই জনসভায় হাসতে হাসতে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘‘আমিও দেখেছি, আপনারা নিশ্চয়ই অনেকে দেখেছেন, বাড়িতে বিয়ে হলে সব সময়ই এক জন না এক জন আঙ্কল এসে আসর জমান। একটা দরবারই বসিয়ে দেন যেন! চেয়ার টেনে বসে জ্ঞান বিতরণ করতে থাকেন এই আঙ্কলজি। চায়ের দোকানে, বিয়ে বাড়িতে এমন হামেশাই দেখা যায়।’’ এর পরেই নাম না-করে ওই ‘আঙ্কলজি’ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তা বুঝিয়ে দেন কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘এ রকমই এক আঙ্কলজি এখন মানুষকে বলছেন, তোমরা কংগ্রেসের থেকে সাবধান হয়ে যাও, কংগ্রেস এলে ঘরে ঘরে এক্স রে মেশিন নিয়ে ঢুকে তোমাদের যা জমানো ছিল সব চুরি করে অন্যকে দিয়ে দেবে। এই সব শুনে অন্যরা কী করবেন! তাঁরা আঙ্কলজির এই বাজে বকা শুনে হাসছেন।’’
রাজীব কন্যার মতে, কংগ্রেসের ‘ন্যায়পত্র’ প্রধানমন্ত্রীকে ভাবিয়ে তুলেছে এবং আজেবাজে কথা বলছেন। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘এখন এমন পরিস্থিতি যে দেশের সবচেয়ে উঁচু পদে বসা ব্যক্তি, তাঁর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এমন বাজে বকে চলেছেন। এমনটা কী কখনও হতে পারে যে কেউ এক্স রে নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে! কী সমস্যা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আমাদের ন্যায়পত্র নিয়ে? আমরা ন্যায় দিতে চাই এটাই কি সমস্যার?’’
আজ ওড়িশার এক সভায় রাহুলও মোদীকে ‘আঙ্কলজি’ বলেই সম্বোধন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আদানিকে রাজ্য তুলে দিয়ে আঙ্কলজি এবং নবীন পট্টনায়েক ওড়িশাবাসীকে ‘পান’ (পাণ্ডিয়ান, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী, নবীন পট্টনায়েক) দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, খনি কেলেঙ্কারিতে ৯ হাজার কোটি এবং জমি দখল করে ২০ হাজার কোটি লুট করেছে এই পান। কংগ্রেস সরকারে কেন্দ্রে এলে এই টাকা জনতাকে ফেরত দেওয়া হবে।’’ এআইসিসি নেতা মানিকম টেগোরও তাঁর একটি পোস্টে মোদীকে ‘আঙ্কলজি’ বলেই সম্বোধন করেছেন।