কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন শান্তনু ঠাকুর। নিজস্ব ছবি।
দ্বিতীয় বার সংসদের সদস্য হয়ে দ্বিতীয় বারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন শান্তনু ঠাকুর। রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একে একে শপথ নিলেন এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা। সেই তালিকায় শপথগ্রহণ করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি তাঁর কাছে বনগাঁ লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব পাঠালে প্রথমে রাজি ছিলেন না শান্তনু। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ির এই উত্তরসূরির মাধ্যমে মতুয়া সম্প্রদায়কে কাছে টানতেই পদ্মশিবির এই কৌশল নিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। আর সেই শান্তনুকেই আবারও নিজের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৯ সালে প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই জয় পান শান্তনু। কিন্তু প্রথমেই তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়নি। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিপর্যয়ের পর রাজনীতির সমীকরণ বদলায়। বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাংলা থেকে নতুন চার জন সাংসদকে মন্ত্রিসভায় আনেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হন শান্তনু।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয় হয়। ১৮ থেকে আসন নেমে আসে ১২-এ। বাংলার রাজনীতির কারাবারিদের মধ্যে আলোচনা ছিল যে, এত খারাপ ফলের পর কি বাংলা থেকে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন? রবিবার সকালে সেই জল্পনায় ইতি টেনে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শান্তনুর কাছে ফোনে আমন্ত্রণ আসে মোদীর বাসভবনের বৈঠকে যোগদানের। সেই ফোন পাওয়ার পরেই বনগাঁর দু’বারের সাংসদ নিশ্চিত হয়ে যান যে, এ বারও তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তনু ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন।