প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রায় নিয়ম করে প্রতিটি জনসভায় রামমন্দির নির্মাণের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস-সহ বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলি কী ভাবে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেছে, তা-ও মনে করাচ্ছেন তিনি। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, দক্ষিণে তো বটেই, উত্তর ভারতেও রামমন্দিরের আবেগের কোনও তরঙ্গ সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সময়কালকেই দায়ী করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের উত্তাপ তৈরি হওয়ার আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে মন্দির-আবেগ।
তবুও প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় অন্তত একবার বিশদে রামমন্দিরের গরিমা এবং তা ঘিরে বিরোধীদের অবহেলার প্রসঙ্গটি আনছেন। আজ আলিগড়ের জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘মন্দির নির্মাণে সব বাধা কেটে গেল, মন্দির বানানো শুরু হল এবং শেষও হয়ে গেল। এতে বিরোধীদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এত রেগে আছেন তাঁরা যে মন্দির উদ্বোধনের নিমন্ত্রণও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনটা কেউ করে? আমার কাছে যখন নিমন্ত্রণ পত্র এসেছে আমি জুতো খুলে পত্রটিকে মাথায় ঠকিয়েছি। একে চরম সৌভাগ্য বলে জেনেছি।’’
শুধু ঘরে নয়, বাইরেও রামমন্দিরের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। প্রবাসী ভারতীয়েরা নরেন্দ্র মোদীর শক্তির একটি বড় ভিত বলেই মনে করে রাজনৈতিক শিবির। এ বার বেছে বেছে ৩০টি দেশের ৯০ জন প্রবাসী ভারতীয়ের প্রতিনিধি দলকে রামমন্দির সফর করিয়েছে কেন্দ্র। সেই দলে রয়েছেন ভুটানের স্পিকার ভেটসপ নামগেইল-ও। প্রবাসীরা পুজো দিয়েছেন মন্দিরে।