PM Modi Oath Ceremony

‘গুরুত্ব পাবে প্রতিবেশীরা’, সাত রাষ্ট্রপ্রধানকে বার্তা মোদীর, একান্তে কথা মলদ্বীপের মুইজ্জুর সঙ্গে

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রবিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন মোদী এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং সমৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ১১:৫২
Share:

আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। ছবি: পিটিআই।

‘প্রতিবেশীরাই অগ্রাধিকার পাবে’। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে সাত রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া মোদী। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করে মোদী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং সমৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি জানান, ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানেরা। সেই নৈশভোজে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা যায় মোদীকে। প্রসঙ্গত, গত বছর এই মুইজ্জু মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসার পরেই ভারত মহাসাগরের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। কিন্তু সেই মুইজ্জুকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো এবং তাঁর সঙ্গে মোদীর একান্তে কথা বলাকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব খর্ব করতে শপথ নেওয়ার পরের দিন থেকেই পড়শি দেশগুলিকে কাছে টানার চেষ্টা শুরু করে দিলেন মোদী।

রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ প্রমুখ। এই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কেবল বিক্রমসিঙ্ঘে পূর্বনির্ধারিত কাজের জন্য সোমবার দুপুরেই ভারত ছাড়বেন। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানেরা দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার পর তাঁদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার কথা। যদিও এখনও মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়নি। বিকেল ৫টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকের পরেই দেশের পরবর্তী বিদেশমন্ত্রীর নাম জানা যেতে পারে। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, এ বারও বিদেশমন্ত্রী হতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement