(বাঁ দিক থেকে) অর্জুন সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সোমবার পঞ্চম দফার ভোট দেশ জুড়ে। আর এই পঞ্চম দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ভোট হবে মোট সাতটি আসনে। বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগে হবে ভোটগ্রহণ। এই সাত আসনে কত জন ভোটার? গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী কারা? কমিশনের প্রস্তুতিই বা কেমন? তার ঝলক রইল আনন্দবাজার অনলাইনে।
সোমবার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ছ’জন প্রাক্তন সাংসদের। এঁরা হলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর, ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ, হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, হাওড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলের প্রার্থী সাজদা আহমেদ এবং শ্রীরামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকেই গত বারের নির্বাচিত সাংসদ। প্রত্যেকেই নিজের কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন। শুধু আরামবাগে প্রার্থী বদল করেছে রাজ্যের শাসকদল। গতবারের বিজয়ী প্রার্থী অপরূপা পোদ্দারের বদলে প্রার্থী করা হয়েছে মিতালি বাগকে।
পঞ্চম দফার ভোটে নিজেদের প্রমাণ করার লড়াইও লড়বেন কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের হুগলির প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর সেট থেকে তিনি এ বার ভোটের ময়দানে। তাঁর লড়াই বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী লকেটের সঙ্গে। অন্য দিকে, ব্যারাকপুরের দাপুটে নেতা অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে পার্থ ভৌমিককে। তিনি এর আগে নৈহাটির বিধায়ক ছিলেন। লোকসভার প্রার্থী হয়ে বিধায়ক আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাই পার্থের বিধানসভা থেকে সংসদে যাওয়া হবে কি না, তা-ও নির্ধারণ হবে সোমবার। ভাগ্য পরীক্ষা হবে শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরেরও। তৃণমূলের তিন বারের জয়ী সাংসদ কল্যাণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে দল।
পঞ্চম দফার ভোটে সাতটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ২৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৭০২ জন। এঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৩২০ জন। মহিলা ভোটার ৬১ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৩৪৮ জন। এ ছাড়া মোট ভোটারদের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়সি ভোটার দু’লক্ষ ৬০ হাজার ৩৯৮ জন (মহিলা, পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গ মিলিয়ে)। ৮৫ বছরের বেশি বয়স ৮০ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের। ১০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন এমন ৫৭১ জন ভোটারও রয়েছেন রাজ্যের পঞ্চম দফার নির্বাচনে। পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোট ১৩ হাজার ৫৮১টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৭৭১১টি। মডেল বুথ ৯৩টি।
রাজ্যের পঞ্চম দফা নিয়ে প্রস্তুত কমিশনও। সাত কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আগে ৬১৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের কথা থাকলেও পরে আরও ৩৭ কোম্পানি বাহিনী বাড়িয়েছে কমিশন। কুইক রেসপন্স টিম থাকছে ৫৬৭টি। এ ছাড়াও ২৫,৫৯০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছেন ১৩,৫৮১টি বুথে।