Lok Sabha Election 2024

পদ্মে পদপ্রাপ্তি দিব্যেন্দুর, কটাক্ষ

২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪১
Share:

দিবেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

দাদা' আর 'ভাইয়ের' পরে এ বার বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বে তমলুকের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন তৃণমূলে নিষ্ক্রিয় থাকার পর কিছুদিন আগে যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। আর তার কয়েকদিনের মাথায় বিজেপিতে দিব্যেন্দুর পদপ্রাপ্তি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোট পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধন্দ এবং উমেশ রাই উপস্থিত ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের এই জরুরি বৈঠকে জেলা কমিটির নেতৃত্বদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুও। তিনি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কার্যকরী সদস্য হিসেবে হাজির ছিলেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। গত ১৫ মার্চ দিল্লিতে গিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু। তার ঠিক এক মাস যেতে না যেতেই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে দিব্যেন্দুর পদপ্রাপ্তি নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সে সময় থেকেই শান্তিকুঞ্জের দুই সাংসদ শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বেড়েছে কালীঘাটের। এ বার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তমলুক কিংবা কাঁথি যে কোনও একটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে পদ্মপ্রার্থী হতে পারেন দিব্যেন্দু। যদিও কাঁথিতে প্রার্থী হন তার ভাই সৌমেন্দু এবং তমলুকের প্রার্থী হন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই দিব্যেন্দুর সংসদীয় রাজনীতি তে ছেদ ঘটলেও যাতে সংগঠনে তাঁকে রাখতে বিজেপির জেলা কমিটিতে তমলুকের বিদায়ী সাংসদকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। তবে দিব্যেন্দুর পদপ্রাপ্তি ঘিরে জেলাতেও গেরুয়া শিবিরের পুরনো কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, এবং রাহুল গান্ধীকে একযোগে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহরা। একই রকম ভাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পরিবারতন্ত্র নিয়ে বারে বারে আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কয়েকজন আদি শিবিরের বিজেপি নেতা বলছেন, "মানছি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বাংলায় বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে। তাই বলে ওই পরিবারের সকলকে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এতে পার্টির যে আদর্শ তা ধীরে ধীরে লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে।"

তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা বলছেন,"যাঁরা অন্যদের পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন, আগে বিজেপিতে তাঁরাই দেখুন পরিবারতন্ত্র কারা বিস্তার করছেন!" যদিও এ ব্যাপারে দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ কুমার দাস বলছেন,"দলের নিয়ম মেনে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিজের বাড়ি যেখানে সেই কাঁথি সাংগঠনিক জেলার কার্যকরী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement