—প্রতীকী চিত্র।
জেলায় লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করার দাবি জানালেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগ, অতীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এলেও জেলা প্রশাসন তাদের হয় বসিয়ে রেখেছে, না হয় আসল জায়গায় না নিয়ে গিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। তাই প্রতি পুলিশ জেলায় কেন্দ্রীয় স্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগের দাবি করলেন বিরোধীরা।
প্রাথমিক ভাবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৭ মার্চের মধ্যে রুট মার্চ করে এলাকায় মানুষের ভয় কাটাতে ৪ কোম্পানি (প্রায় ৪০০ জওয়ান) কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে কমিশন সূত্রে জেলায় বার্তা এসেছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৫টি থানা। ৬টি বিধানসভা। এর মধ্যে শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা বিধানসভা দু’টি মালদহ দক্ষিণ লোকসভার অধীনে। বাকি ৪টি সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার লালগোলা, নবগ্রাম ও খড়গ্রাম বিধানসভা মিলে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “দলের তরফ থেকে কিছু আশঙ্কাজনক এলাকার নাম নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্ত লাগোয়া রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুর ও চর বাজিতপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দু’টি খুনের ঘটনা ঘটে বুথ দখল নিয়ে। আরও এক জন খুন হন সাগরদিঘির কিসমত গাদীতে। এ ছাড়াও সেকেন্দ্রা, গিরিয়া, শমসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর, দোগাছি পঞ্চায়েত এলাকা, সুতির কাশিমনগর, বামুহা, উমরাপুরের একাধিক গ্রাম, বহুতালির গ্রামগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্থায়ী ভাবে রাখা দরকার। প্রতিটি পুলিশ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে নোডাল অফিসার রাখতে হবে।”
কংগ্রেসের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে কাজ হাসিলের চেষ্টা করে শাসক দল। তাই কমিশনের উচিত তৎপর হওয়া।’’
বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষের দাবি, “তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ সত্বেও এখনও গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাতেই বহু পুলিশ অফিসার রয়ে গেছেন যারা মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫ থেকে ১২ বছর আছেন। এরা কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভাবে পরিচালিত করবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে। সবার নাম কমিশনকে পাঠানো হচ্ছে।”
জঙ্গিপুরের তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে তাতে আপত্তি নেই। রুট মার্চ হোক সব এলাকাতেই।”