অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
বিজেপির আসন কমে যাওয়া এবং সরকার গঠনে পদ্মশিবিরের ‘পরনির্ভরশীল’ হয়ে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘যারা এক মাস আগে বাংলায় এসে বলেছিল, বিজেপি ৩০টি আসন পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফুস হয়ে যাবে, এখন তাদের সরকার গঠন করা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।’’ এর পরেই অভিষেক বলেন, ‘‘কখনও ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে নেই। কখনও মানুষের ক্ষমতাকে অবজ্ঞা করতে নেই।’’
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক। বুধবার সন্ধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলির নেতারা বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। সে প্রসঙ্গে অভিষেককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আগে দিল্লি যাই, বৈঠক হোক, সকলে সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হোক। তার পরে কলকাতায় ফিরে এসে যা বলার বলব।’’
মঙ্গলবারেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে তিনি থাকতে পারবেন না। তবে আমন্ত্রণ পেলে নিশ্চয়ই তিনি অভিষেককে পাঠাবেন। সেই মতোই দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক। যাওয়ার আগে বলেছেন, ‘‘আমাদের দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি দলের তরফে সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি।’’ গত শনিবার শেষ দফার ভোটের দিনেও বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলগুলির নেতারা। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। তা ছাড়া ‘ইন্ডিয়া’র তরফে কেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে মুখপাত্র করা হয়েছে, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেশে ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতেই বিরোধী শিবিরে বিবিধ ঘটনাপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। বিহার থেকে দিল্লিগামী বিমানে কাছাকাছি বসে রওনা হয়েছেন তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমার। আর অভিষেক কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘পঞ্জাব, বিহার, তামিলনাড়ু, কর্নাটক থেকে অনেকে দিল্লি পৌঁছচ্ছেন। সকলের সঙ্গে বৈঠকে কথা হবে।’’
বাংলায় একাই ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি কমে হয়েছে ১২। তা নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যত বড় বড় কথা বলবেন, তত তৃণমূলের লাভ। এর আগে এসে বলেছিলেন, বিজেপি ২০০ পার করবে বাংলায়। দেখা গিয়েছিল তৃণমূল ২০০ পার করেছে। এ বার বলেছিলেন বিজেপি ৩০টি আসন জিতবে। দেখা গেল তৃণমূল ২৯টি আসন পেয়েছে।’’