নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক চললে রবিবার, ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই বলছে সূত্র। এর আগে শোনা গিয়েছিল, শনিবার শপথ নিতে চলেছেন তিনি। তবে, সূত্র বলছে, রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নিতে পারেন মোদী।
মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদীকে অনুরোধ করেছেন মুর্মু।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, আগামী রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। তার আগের দিন শপথ নেওয়ার কথা ছিল মোদীর। এখন সূত্র বলছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মোদী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১২ জুন চন্দ্রবাবু শপথ নিতে পারেন বলে খবর। বিজেপি সূত্রে খবর, মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।
মঙ্গলবার দেশের ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন মোদী, অমিত শাহেরা। দিল্লিতেই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদেরও।
এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হবে মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে কোনও একটি শরিক দলও যদি বেঁকে বসে, তবে সমীকরণ বদলে যেতে পারে। অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদী। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেন মোদী। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। সেটিই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানেই শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে খবর ছিল। বৃহস্পতিবার যদিও শপথের দিন বদলের খবর প্রকাশ্যে এল।