শ্রীরামপুরের স্নানপিঁড়ি মাঠের সভায় বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং দীপ্সিতা ধর। —নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের প্রচারে মঙ্গলবার শ্রীরামপুর স্নানপিঁড়ি মাঠে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দুই তরুণ প্রজন্মের নেত্রীকে ঘিরে এ দিনের সিপিএমের সভায় কর্মী সমর্থকদের ভিড় এবং উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মীনাক্ষী তাঁর বক্তব্যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার এবং ধর্মের ভিত্তিতে যাঁরা মানুষকে ভাগ করেন তাঁদের ভোট না দেওয়ার বার্তা দেন।
এ দিনই শ্রীরামপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বারবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা সমাবেশের প্রসঙ্গে সিপিএম নেত্রী বলেন,‘‘এত পুলিশ, এত টাকা, এত প্রচার, এত মিডিয়া! এরপরও যখন ওঁদের ক্রমাগত রোজ আসতে হচ্ছে, তার বার্তা স্পষ্ট। ওদের দু’দলেরই পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। যার শুরু হবে এ বারের ২৪ এর লোকসভা ভোটে। আর আগামী ২৬ সালের ভোটে ওঁরা থাকবেন না।’’
শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৪ জুনের পর উনি পূর্ণ বিশ্রাম পেয়ে যাবেন। তার পরই ওঁনার মাথা ঠিক হয়ে যাবে।’’ দীপ্সিতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘বাম রাজনীতিতে একজন আপোসহীন কর্মী। তাঁকে দেখে আগামী দিনে ভারতের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়ে আমাদের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হবেন।’’
দলের বর্ষীয়ান নেতার প্রতি বাম নেত্রীর উক্তি ভালভাবে নেননি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন,‘‘এঁরা তরুণ প্রজন্মের নেত্রী। ওঁরা নিজেদের শিক্ষার বড়াই করে থাকেন। বয়স্ক মানুষদের নিয়ে এমন ভাষায় যে কথা বলতে নেই, তা ওই বামনেত্রী শেখেননি। এমন শিক্ষার কী মূল্য আছে তাহলে?’’