—প্রতীকী ছবি।
দ্বিতীয় পোলিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণের দিন ধার্য হয়েছিল ২৪ মার্চ। নির্দেশ মেনে সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। বুধবার, ২৭ মার্চ ডাকযোগে চিঠি আসে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। তাতে লেখা, ‘কেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেননি, তার জবাবদিহি করতে হবে।’ এমন চিঠি পেয়ে হতবাক বহু শিক্ষক জানিয়েছেন, এই শোকজ় চিঠিতে ২১ মার্চ-এর দিন লেখা রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণ হওয়ার আগেই ‘কেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেননি’ বলে চিঠি পাঠাতে শুরু করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগীর পাল্টা দাবি, ২১ মার্চের আগেই একটি প্রশিক্ষণ ছিল। সেই প্রশিক্ষণ নেননি অনেকেই। এই চিঠি তাঁদের কাছেই পাঠানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “হতে পারে তিনি ২৪ মার্চ দ্বিতীয় প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রথম প্রশিক্ষণে না যাওয়াতেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
আলিপুরদুয়ারের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মনোজ সূত্রধরের দাবি, “যে প্রশিক্ষণ ২৪ মার্চ হওয়ার কথা, তার জন্য ২১ মার্চ শোকজ় চিঠি পাঠিয়ে কেন যাইনি তার জবাবদিহি চাওয়া হচ্ছে। আমি তো অবাক!’’ তিনি ২৪ মার্চ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নিয়ে খাতায় সই করে তার ছবিও তুলে এনেছেন। শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘বহু শিক্ষকের কাছেই এমন শোকজ় চিঠি এসেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।’’
মনোজ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন মৌখিক ভাবে ভুল স্বীকার করেছে।জানিয়েছে, সংশোধন করে দেওয়া হবে। কিঙ্করের দাবি, ‘‘এই শোকজ় চিঠি পেয়ে শঙ্কিত শিক্ষকেরা। ভুল স্বীকারের কথা লিখিত ভাবে জানাতে হবে। প্রশিক্ষণের পরে তার একটা লিখিত প্রমাণ জেলা প্রশাসনকে দিতে হবে।’’
শিক্ষকদের একাংশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, প্রশিক্ষণের মাঝে দুপুরে খাবার হিসেবে ধার্য হয়েছে ১৫০ টাকা হলেও বেশ কিছু প্রশিক্ষণকেন্দ্রে চিপস, চিড়ে ভাজা, ভুজিয়ার ১০ টাকার প্যাকেট, একটা কলা, একটি আপেল, একটি কেক এবং ছোট জলের বোতল দেওয়া হয়েছে। এর সামগ্রিক মূল্য কোনও ভাবেই ১৫০ টাকা হতে পারে না। শিক্ষকদের দাবি, ওই ১৫০ টাকা তাঁদের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হোক।