মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুরে। ছবি: সংগৃহীত।
বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর, জেলার দুটো লোকসভা আসনই জিততে হবে বলে জানালেন মমতা।
নতুন সংসদ ভবনকে জেলে পরিণত করে সবাইকে ভরে দিন। কিন্তু হুমকি দেবেন না। এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
মোদীর ‘ধমকে’ ভয় পান না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বললেন, “আপনি কাকে ধমক দিচ্ছেন, আমরা ভয় পাই না।” একই সঙ্গে মমতার বক্তব্য, মোদী এ সব বলছেন তাঁর দল বিজেপিকে উজ্জীবিত করতে। লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে তৃণমূল সরকার থাকলেও এই সব হুমকি দেওয়া হয় না বলে জানান তিনি।
মোদীকে আক্রমণ করে মমতার মন্তব্য, বলছে ৪ জুনের পর সব জেলে ভরব। এ কথা কি প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায়? গোটা দেশে জেল বানান। এজেন্সি নিয়ে ফের সরব হয়ে মমতা মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, “এজেন্সি দিয়ে গোটা দেশকে জেল বানিয়ে রেখেছেন।” একই সঙ্গে মোদীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “আমরা আপনাকে ভয় পাই না।”
নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বললেন, “আপনি ব্লকে ব্লকে প্রচার করুন। আমার আপত্তি নেই। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আপনি জলপাইগুড়ির সভা থেকে ওখানকার মানুষদের জন্য কি কোনও সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন?”
রাজ্য সরকার বাঁকুড়ার জন্য কী কী উন্নয়ন করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরলেন মমতা। লক্ষ্মীর ভান্ডার, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা, সিলেবাস তৈরি করা সব করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাঁকুড়ার রাইপুরের জনসভা থেকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের নাম না করেই তাঁকে কটাক্ষ করলেন মমতা। বললেন, “জানি না ডিভোর্স হয়েছে কি না। তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়েছে সেখানে। তাঁর যদি আমি ফোটোগুলো খুলি, তা হলে বিষ্ণুপুরের মানুষ বুঝবেন, বিজেপি কত আদর্শবান দল। সব ছবি আমার কাছে আছে।”