বুথে বুথে মহুয়া। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।
অনেকেরই ধারণা, এ বার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তাঁর ভাগ্য সরু সুতোয় ঝুলছে। নতুন করে শক্তিসঞ্চয় করা বামেরা সংখ্যালঘু ভোট কেটে তাঁকে হারিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু দিনভর খোশমেজাজেই দেখা গেল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে। চাপড়ায় বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের কথা শুনে রাজভবনের কথা তুলে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না তিনি।
সোমবার দুপুরে পলাশিপাড়ার বারুইপাড়ায় ৫৯ নম্বর বুথে তৃণমূলের বোতাম টিপলেও বিজেপির ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ ওঠায় ঘণ্টাখানেক ভোট বন্ধ থাকে। সেখানে ঘুরে তেহট্টের বিষ্টুগঞ্জে পৌঁছে এক কর্মীর মোটরবাইকে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বুথে যান মহুয়া। সেখান থেকে দেবনাথপুর হয়ে চলে যান চাপড়ার হৃদয়পুরে। সেখানে অন্যতম সেনাপতি জেবের শেখের সঙ্গে শলাপরামর্শের পরে কৃষ্ণনগরে ফেরেন। চাপড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। মহুয়া দাবি করেন, “উনি কী মানসিক অবস্থায় আছেন, উনিই জানেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।”
কৃষ্ণনগরের ‘রাজমাতা’ হিসেবে প্রচারে সম্বোধন করা হত অমৃতাকে। মহুয়া কটাক্ষ করে বলেছেন, “থানা তো ছোটখাটো ব্যাপার। রাজমাতা রাজভবন। বুঝতে পারছেন।” অমৃতা পাল্টা বলেন, “মানুষ এখন জানতে চায়, উনি আদৌ শিক্ষিত কি না। ওঁর কথা নিয়ে প্রশ্ন করে আমাকে ছোট করবেন না।”