রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মডেল সাজিয়ে প্রচার করলেন জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। সোমবার বোদরা বাজার থেকে নিমতলা পর্যন্ত র্যালি হয়। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের মিছিলে স্কুলের বাচ্চাদের হাঁটানো নিয়ে বিতর্ক বাধল। সোমবার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে ভাঙড় ১ ব্লকের বোদরা বাজার থেকে নিমতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মিছিল হয়। উপস্থিত ছিলেন জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লারা। মিছিলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মডেল তুলে ধরা হয়। অভিযোগ, মিছিলে মডেল হিসাবে বিভিন্ন স্কুলের বাচ্চাদের সামিল করা হয়েছিল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল অবশ্য স্কুলের বাচ্চাদের মিছিলে হাঁটানোর কথা মানতে চায়নি।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, “সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তো তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সাধারণ মানুষের করের টাকায় কিছু জনকল্যাণমূলক কাজ হয়। বাম আমল থেকে স্কুলের বাচ্চাদের সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের মিছিলে না এলে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হবে, সেই ভয়ে সাধারণ মানুষকে মিছিলে আসতে হচ্ছে। কিন্তু এই গরমের মধ্যে স্কুলের বাচ্চাদের মিছিলে সামিল করার তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছি।”
আইএসএফের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “অনুদান দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি চলছে। স্কুলের বাচ্চাদের মিছিলে হাঁটানো গর্হিত অপরাধ। এখন থেকেই শিশু মনে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাই স্কুলের বাচ্চাদের দিয়ে মিছিল ভরাতে হচ্ছে।”
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীপ দােসর কথায়, “অমানবিক কাজ। নেতারা নিজেদের বাড়ির বাচ্চাদের ঠান্ডা ঘরে রেখে, গরিব বাড়ির বাচ্চাদের জোর করে মিছিলে হাজির করাচ্ছে। স্কুলের বাচ্চাদের মিছিলে হাঁটানো কোনও ভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা অবশ্য বলেন, “তৃণমূলের এত লোকের অভাব হয়নি, যে স্কুলের বাচ্চাদের মিছিলে সামিল করাতে হবে। তীব্র গরমের কারণে এখন সমস্ত স্কুলে ছুটি। আমাদের দশ হাজার লোকের মিছিলের মধ্যে টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে দু’এক জন উৎসাহী বাচ্চা যদি ঢুকে পড়ে, সে জন্য আমরা কী করতে পারি! আসলে বিরোধীরা কোনও বিষয় খুঁজে পাচ্ছে না, তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে।”