Lok Sabha Election 2024 Result

শহরে কি এ বার স্থায়ী ঠিকানা শত্রুঘ্নের

ইতিমধ্যে শত্রুঘ্নের এলাকায় না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, প্রথম বার সাংসদ হয়েই আসানসোলের মহিশীলায় বাড়ি কিনে থাকা শুরু করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ০৯:২০
Share:

সস্ত্রীক শত্রুঘ্ন। নিজস্ব চিত্র।

আগের দফায় তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন দু’বছরের জন্য। স্থায়ী কোনও বাসস্থান হয়নি সংসদ এলাকায়। এ বার পূর্ণ সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। শত্রুঘ্ন সিন‌্‌হা এলাকায় থেকেই এ বার আসানসোলের জন্য কাজ করবেন কি না, প্রশ্ন এলাকাবাসীর অনেকেরই। বিরোধীরা কটাক্ষ করছে, ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে জেতানোর ফলে উন্নয়নে ভাটা পড়বে। যদিও তৃণমূলের দাবি, আগামী পাঁচ বছর নিজের সংসদ এলাকাতেই থাকার পরিকল্পনা রয়েছে শত্রুঘ্নের। সে জন্য বাসস্থানের সন্ধান শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আসানসোলে শত্রুঘ্নের স্থায়ী ঠিকানা হয়নি। ২০২২ সালে সাংসদ হওয়ার পর থেকে এ বার নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত যখনই এলাকায় এসেছেন, কখনও এডিডিএ-র অতিথিশালা, আবার কখনও বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছেন। এই দুই জায়গায় সাধারণ বাসিন্দাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ফলে, দু’বছর ধরে প্রয়োজনে সাংসদের কাছে পৌঁছনো যায়নি বলে অভিযোগ অনেকের। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের অনেকেরও। উপনির্বাচনে জিতে অল্প সময়ের জন্য সাংসদ হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু এ বার পূর্ণ সময়ের জন্য সাংসদ হয়েছেন তিনি। তাই আসানসোলে তাঁর স্থায়ী বাসস্থান হোক, দাবি উঠেছে দলেরই অভ্যন্তরে। পরিষেবার প্রয়োজনে তা জরুরি বলে মনে করছেন দলের জেলা নেতৃত্বও।

ইতিমধ্যে শত্রুঘ্নের এলাকায় না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, প্রথম বার সাংসদ হয়েই আসানসোলের মহিশীলায় বাড়ি কিনে থাকা শুরু করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শেষ দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল সাংসদের স্থায়ী ঠিকানা। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘শহরবাসী নিজেদের প্রয়োজনে সরাসরি সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন তখন। কিন্তু গত দু’বছর তা হয়নি। এ বার কি পরিস্থিতি বদলাবে? না কি ওই দুর্ভোগই চলবে, সেটাই দেখার।’’ স্থানীয় কেউ সাংসদ হলে এই অসুবিধা হত না বলে দাবি সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘তহবিলের টাকা খরচ করাটাই সাংসদের একমাত্র কাজ নয়। মানুষের প্রয়োজন বুঝে শহরবাসীর পাশে থাকা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করাটাও প্রয়োজন। বর্তমান সাংসদ কোনওটাই করতে পারবেন না, কারণ আসানসোলে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেই।’’

Advertisement

যদিও এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের জেলা সভপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরের জন্য শত্রুঘ্নের আসানসোলেই স্থায়ী ঠিকানা হতে চলেছে। ইস্কো কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বাংলো চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সাংসদের কার্যালয় ও বাসস্থান হবে বলে দাবি তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement