মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লড়াই কঠিন ছিল। সে কথা জানতেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে জন্যে সময়ও দিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, স্বাভাবিক ভাবেই কোচবিহার লোকসভার আসনের জয়ে খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কালীঘাটে লোকসভায় জয়ী প্রার্থী ও নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে ‘টিম কোচবিহার’-এর প্রশংসা করেছেন দলনেত্রী। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে এ ভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথাও
জানিয়েছেন নেত্রী।
এ দিনের বৈঠকে কোচবিহার থেকে জয়ী প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। ওই তিন জন তো বটেই, তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের মতো নেতারাও দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। সে সমস্ত রিপোর্ট নেত্রীর কাছেও রয়েছে বলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
জগদীশ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের ফলে খুশি হয়েছেন। আমাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে নেত্রীর নির্দেশে আমরা
এগিয়ে যাব।’’
কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই লড়াই অনেকটাই কঠিন ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪ হাজারের বেশি জয়ী হয়েছিলেন নিশীথ। নিশীথকে পরাজিত করতে এ বার মরিয়া হয়েছিল তৃণমূল। দলনেত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার কোচবিহারে এসেছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। সে ভাবেই এগিয়ে সফলতা পায় রাজ্যের শাসক দল।
অভিজিৎ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের ফলে খুব খুশি হয়েছেন। তিনি জেলাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমরা সবাই যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছি, তারও তিনি প্রশংসা করেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য বিধানসভা। নেত্রীর নির্দেশ মেনে ন’টি আসন দখলের চেষ্টা করব আমরা।’’
গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়েছে দল। তার পরেও আলিপুরদুয়ার আসনে তৃণমূলের জয় না আসায় খুশি নন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে গিয়েছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়াররম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যদিও কলকাতার বৈঠক নিয়ে এই দুই নেতার কেউই এ দিন মন্তব্য করতে চাননি।